শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লেখাগুলো ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য যেমন প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক খাদ্যভ্যাস, শৃঙ্খলা পূর্ণ জীবন, নিয়মিত ব্যায়াম খেলাধুলা তেমন প্রয়োজন সৎ চিন্তা ও সৎকর্ম।খারাপ মানসিক চাপ শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের ও ক্ষতি করে।যদি আমরা একই মানুষের চাপের মধ্যে সপ্তাহের পরে সপ্তাহ বা মাসের পরে মাস থাকি তাহলে তা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।
মানসিক স্বাস্থ্যের ও ক্ষতি করে।যদি আমরা একই মানুষের চাপের মধ্যে সপ্তাহের পরে সপ্তাহ বা মাসের পরে মাস থাকি তাহলে তা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
.
ভূমিকা
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিটের শারীরিক ক্রিয়া-কলাপের লক্ষ্য রাখুন, যদিও ১০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা ও মানসিক সর্তকতা, শক্তি এবং মেজাজ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। হাটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ বা বাগান করার মতো একটি কার্যকলাপ যা আপনি উপভোগ করেন তা খুঁজে বের করা নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে আরো অর্জন যোগ্য করতে সাহায্য করতে পারে।
শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
- সঠিক সময় সঠিক খাবার খাওয়া.
- সবজি ও ফলমূল খাওয়া.
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাপে পানি পান করুন.
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত আলো বাতাস গ্রহণ করুন.
- পর্যাপ্ত পরিমাপে ঘুম ও বিশ্রাম করুন.
- শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়মিত চেকআপ করুন.
- ঘরে রান্না করুন এবং বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন.
- শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখুন.
- অ্যালকোহল পানি পান করবেন না.
- মাঝেমধ্যেই বাহিরে যান এবং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের সাথে মেলামেশা করুন.
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য প্রথম শ্রেণী
স্বাস্থ্যর অন্যতম উপাদান হলো মনের সুস্থতা বা মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের চিন্তা, আবেগ ও আচরন এই তিন মিলেই হল মানসিক স্বাস্থ্য। শারীরিক স্বাস্থ্যর মত মানসিক স্বাস্থ্য ও মানুষকে প্রবাহিত করে। শরীর খারাপ থাকলে যেমন কিছু ভালো লাগে না। মন খারাপ থাকলেও ঠিক তেমনি লাগে।
আরও পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
কোথাও যেতে ভালো লাগেনা, কোন কাজ করতে ভালো লাগে না। আমাদের শরীর আমাদের বলে দিবে যদি আমাদের খুব বেশি সংগ্রাম করতে হয় মানসিক চাপের সাথে। জনসংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮.৭ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত।
মানসিক রোগ যেন বাসা না বাঁধে সেই দিকে সময় থাকতে সচেতন হইতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। শারীরিক স্বাস্থ্যর ক্ষেত্রে আমরা যখন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী তখন আমাদের অনেক কর্মশক্তি থাকে এবং আমরা ভালো কাজ করতে পারি।
মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্ব
আমাদের জীবনে প্রতিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনের সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষা করে এবং জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব না দিলে, আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব না।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ন্যায় মানসিক স্বাস্থ্য সমান গুরুত্বপূর্ণ, এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সব কুসংস্কার, নেতিবাচক বদ্ধমূল ধারণা দূর করতে হবে। সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য শরীরকে সুস্থ রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হলো মনকে সুস্থ রাখা। ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সে -
- পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করে চলতে পারে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠ অভিযোজনে সক্ষম হয়।
- দৈনন্দিন কাজকর্ম সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
- বিভিন্ন বিষয়ের দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে
- বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়:
- নিজের যত্ন নেওয়া.
- পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ.
- পর্যাপ্ত ঘুম.
- নিয়মিত ব্যায়াম.
- শখের কাজ করা.
- নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা.
- কৃতজ্ঞ থাকা.
- প্রিয়জনদের সাথে বেশি করে সময় কাটাও.
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
ঘুম মানসিক ও শারীরিক সুস্থ জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুমানোর জন্য আমরা ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার খাব। বাদাম, আখরোট, চেরি রস, কিউই, ক্যামো মাইল চা মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।এই রাসায়নিক গুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে। কম ঘুমানোর কারণে আমাদের শরীরে মানসিক এক ধরনের প্রভাব পড়ে।
দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাইতে হবে। এই ৮ ঘন্টা ঘুম আমাদের শরীরে অতি প্রয়োজনীয়।আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমাই তাহলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না । ফলে হতাশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তাই পর্যাপ্ত ঘুম বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনঃ পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়
একজন মানুষের সুস্থ থাকার অন্যতম নিয়ামক হলো ঘুম। আমাদের প্রতিদিনের কাজ করার জন্য আমাদের ঠিকমতো ঘুম প্রয়োজন। কারণ ঘুম পরবর্তী কাজের জন্য আমাদের শরীরকে তৈরি করে।
রাত জাগা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কর। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ঘুম প্রয়োজন।
অনেক সময় দেখা যায় শরীর প্রচন্ড ক্লান্ত কিন্তু ঘুম আসে না। অনিয়মিত খাদ্যভ্যাস, শরীর চর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর আধুনিক জীবন অনেকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। রাতের ঘুম ঠিক মত না হলে এ নানা ধরনের এ শারীরিক রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই রাতের ঘুম প্রয়োজন মতো ঘুমাইতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত রাত জেগে থাকি। এই রাত জাগার কারণে আমাদের অনেক প্রবলেম হয় যেমন মাথা ব্যথা করে। মাইগ্রেনের প্রবলেম হয়। চোখের নিচে ড্রাগ স্কেল পরে। আমরা এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঠিকমতো ঘুমাবো আমাদের শরীরের ঘুম অতি প্রয়োজনীয়।
পুষ্টিকর খাবার
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন ।এতে রাতে ঘুম ভালো হবে। ডিমে আছে ভিটামিন ডি মস্তিষ্ক যে অংশ নিউরন কমাতে সাহায্য করে ডিমে এর ভিটামিন ডি যেখানে কাজ করে ভিটামিন ডি র ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না। মিষ্টি আলু কে বলা হয় ঘুমের মাসি। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ঘুমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাপ শাকসবজি খেতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কে প্রভাব
মানসিক স্বাস্থ্য বলতে ব্যক্তিরা এমন একটা মানসিক অবস্থাকে বোঝায়, যখন বাতি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করতে পারে, সঠিকভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বুঝতে পারে এবং তা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারে। একজন মানুষের মধ্যে নানা ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয় যেমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক পেশাগত সম্পর্ক আবেগপ্রবণ পারিবারিক সম্পর্ক ইত্যাদি।
মানুষের এই জীবনে প্রতিটা সম্পর্কে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। শিশু ও কিশোর বয়সে পরিবারে এর বাহিরে যে সম্পর্কটা অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তা হলো বন্ধুত্ব ও সমবয়সী দলের সঙ্গে সম্পর্ক। সম্পর্ক তৈরি করা ও মানিয়ে চলা আর প্রক্রিয়াটা মূলত এখন থেকে শুরু হয়।
আমরা শরীরে যেকোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থতা কে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা শারীরিক সুস্থতা কে প্রাধান্য দেই। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতাকে সুস্বাস্থ্য বলি। সামাজিক-মানসিক এবং শারীরিক এই তিনটি সুস্থ সমন্বয়কে বোঝায়।মানসিক স্বাস্থ্য ব্যক্তির ভালো থাকার একটি অবস্থা যার মাধ্যমে সে নিজের ভাবনাকে উপলব্ধি করতে পারে। নিজের ভাবনা অনুভূতি অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে চলা।
স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করা স্বাভাবিক চাপ মোকাবেলা করা নিজের সমাজে অবদান রাখতে পারে। মানসিক সমস্যা এমন একটা সমস্যা যার কারণে মানুষের লাইফটা এলোমেলো হয়ে যায় সে ব্যক্তি টা নিজের মতো করে জীবন যাপন করতে পারে না। মানসিক সমস্যার কারণে ব্যক্তি নানা ধরনের ভোগান্তি হয় কিন্তু তা বাহির থেকে প্রকট ভাবে বোঝা যায় না। অতিরিক্ত কোন কিছু নিয়ে ভাবলে টেনশন হয় আস্তে আস্তে ডিপ্রেশনে চলে যাই।
মানসিকভাবে ভেঙ্গে এতে অনেক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য নিজেকে সবসময়ই হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করব। নিজের মন-মাইন চেঞ্জ করব। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করব ঘুমাবো সবকিছু টাইম তো টাইম করার চেষ্টা করব। নিজের মাইন্ড ঠিক রাখলে অনেকটা শান্তি ফিল করা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য এর সুস্থতা সম্পর্কে
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক শারীরিক স্বাস্থ্যর মতোই। এর সুস্থতা হল যখন মানুষ নিজে সম্ভাব্য শক্তির জায়গা গুলি সহজেই বুঝে যায়। জীবনের নানা পর্যায়ে চাপের সাথে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারে, কর্মক্ষেত্রে ভালো ও ফলপ্রসূ ভাবে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার দশটি উপকারিতা
এবং সমাজের জন্য তার যথেষ্ট অবদান থাকে। মানসিক অসুস্থতার সম্পর্কে এর সংবাদ মাধ্যম মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও অপবাদ মূলক মানসিক তা কে পরিবর্তন করতে জোরাল ভূমিকা রাখে। মানসিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরিতে ও সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালিত এক গবেষণায় দেখে গেছে তাদের দেশে শতকরা ৭০ ভাব মানুষ মানসিক সুস্থ বিষয়ে তথ্য পায় টেলিভিশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে, শতকরা ৫৮ পাই সংবাদপত্রে মাধ্যমে, ৩৪ জন ম্যাগাজিন এবং ২৫ ভাগ মানুষ মানসিক সুস্থ বিষয়ে তথ্য পাই ইন্টারনেট থেকে।
লেখকের মন্তব্য
শেষ মন্তব্য আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় নিয়ে, এই সকল তথ্য আশা করি আপনি আর্টিকেলে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে বা কোন তথ্য জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
এতক্ষন আমার ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার উপায় এই আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার পরিবার বন্ধু বান্ধব আপনার আত্মীয় স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url