কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা,গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা এবং কিসমিসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লেখাটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আমি আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। এবং আরো কিছু বিস্তারিত জানতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে এটি শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিসমিসে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিসমিস একটি খুবই উপকারী খাবার এর পুষ্টিগুন অনেক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা

.

ভূমিকা

কিসমিসের উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনীয় সহায়তা করে। কিসমিসে ভিটামিন, খনি জ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং অন্যান্য বেশ কয়টি গুণাগুণ রয়েছে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যার শরীরে পরিপাক ক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা দূর করে।

কিসমিস

কিসমিস মূলত শুকনো আঙ্গুল। সোনালী-বাদামী, গাঢ় বাদামি কালচে এমন নানা রঙের কিসমিসের দেখা মিলে থাকে। রঙের এই পার্থক্য আসে মূলত কোন পদ্ধতিতে শুকানো হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে। কিসমিস কে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়। চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কিসমিস প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালোরির জন্য বিখ্যাত। কিসমিস এমনই একটি খাবার যেখানে বহু রপ থেকে দূরে থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। আবার কিসমিস অতিরিক্ত খেয়ে ফেললেও বিপদ। ফলে খুব মেপে ঝোপে কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে বহু ধরনের উপকার মিলে।

কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা

এখন কিসমিস‌ এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য আমরা দুই অংশে বিভক্ত করেছি।১. কিসমিস এর উপকারিতা, ২. কিসমিস এর অপকারিতা।

কিসমিস এর উপকারিতা

ড্রাই ফ্রুটের এর মধ্যে আমাদের কাছে অন্যতম পরিচিত হচ্ছে কিসমিস। পোলাও, পায়ের সহ বিভিন্ন রান্নাই মূলত কিসমিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিসমিস ভেজানো পানি পান করে থাকেন। বিভিন্ন খাবারে কিসমিস দিলে স্বাদ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

এছাড়াও চিনা বাদাম, আলমন্ড বা কাজু বাদামের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে যদি স্বাদ না পান, তবে স্বাদ বৃদ্ধি করতে সেগুলো কিসমিসের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে পারেন। কিসমিস অনেক পরিচিত হলেও কিন্তু এর স্বাস্থ্য কিসমিস এর উপকারিতা ও অনেকেই জানেন না। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে কিসমিস।
কিসমিসের কয়েকটি জাদুকরী উপকারীর কথা আলোচনা করা হলো:
  1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  2. সুস্থভাবে ওজন বাড়ায়
  3. ক্যান্সার প্রতিরোধে
  4. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  5. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  6. হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন
  7. ঘুম ভালো হয়
  8. ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ
  9. রক্ত স্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা কমায়
কোষ্ঠকাঠিন্য কুমায় নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভিজানো কিসমিস খান। কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলা নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখুন। শীঘ্রই সফল পাবেন। কিসমিস ক্যাটেচিন নামক এক ধরনের আন্টিওক্সিডান্ট থাকে যা শরীরে ভেসে বেড়ানো ফ্রি রাডিকলগুলিকে লড়াই করে নিঃশেষ করে।

আরও পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং নিয়ম

শরীরের এই ফ্রি রাডিকল গুলো ক্যান্সার সেলের স্বতঃস্ফূর্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মেটাস্টাসিসেও সাহায্য করে। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরে সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

কিসমিস রোজ সকালে খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরের ক্যাটেচিন এর মতন শক্তিশালী আন্টিওক্সিডান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক পড়তি গোলের মধ্যে একটি কিসমিস।

এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বজায় রাখেন। রক্ত স্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারী। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

কিসমিস এর অপকারিতা

প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে কিসমিসের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে উপকারিতা বেশি আর অপকারিতা খুব কম চলুন জেনে নেওয়া যাক।
1.এলার্জি বা চুলকানি সমস্যা
আপনি যদি স্বাভাবিক পরিমাণ কিসমিস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার তেমন কোন সমস্যা হবে না। আর আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় দৈনিক কিসমিস খান তাহলে আপনার এলার্জি বা চুলকানি হতে পারে। আর যাদের আগে থেকে শরীরে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা খুব অল্প পরিমাপ কিসমিস খাবেন।
2.ডায়রিয়ার সমস্যা
আপনার যদি পেট খারাপের সমস্যা থেকে থাকে অল্প কিছুতেই পেট খারাপ করে তাহলে আপনার কিসমিস না খাওয়াটাই ভালো।
3.ডায়াবেটিস রোগ সমস্যা
কিসমিস একটি মিষ্টি জাতীয় ফল এটা আমরা সবাই জানি। আর এটাও জানি যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি খাওয়ায় একদম ঠিক না। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা কিসমিস খাবেন না।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

জেনে নিন পানিতে ভেজানো কিসমিস এর উপকারিতা কে জানে না, কিসমিস খুবই উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিসমিস না-খেয়ে শুধু কিসমিসের পানি খেলেও ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের প্রবেশ করে। কিসমিসে আছে।

ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং আপনার চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান। তাহলে ভেজা কিসমিস ও তার পানি নিয়মিত খান। এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজম শক্তি জরুরী। এক্ষেত্রে কিসমিস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভরে সেই পানি খান। নিজে তারপর তফাত খেয়াল করুন। দিন 15 পরে ফলাফল বুঝতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। প্রোটিন মা এবং শিশু কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। সাইবার কিসমিস ফাইবারের একটি ভালো উৎস। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন এবং খনি কিসমিস, যেমন ভিটামিন বি ৬ পটাশিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ।

এটি পুষ্টিকর উপাদানগুলি মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।কিসমিস একটি স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক খাদ্য এবং গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার পক্ষে খুবই উপকারী। সর্বোতম পুষ্টি এবং অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার গর্ভকালীন ডায়েটে কিসমিস অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। সাধারণভাবে গর্ব অবস্থায় কিসমিস খাবার নিরাপদ হলেও পরিমিত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

পরিমাণে বেশি কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া একেবারে নিরাপদ। কালো শুকনো আঙ্গুর ভীষণ মাত্রায় পুষ্টিকর আর গর্ভাবস্থায় সেগুলি খেলে তা একজন গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য জন ভীষণ উপকারী হয়ে উঠতে পারে। কিসমিস মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই অসংখ্য উপকারিতা নিয়ে আসে।

আরও পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার দশটি উপকারিতা 

তবে গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার ফলে একজন হবু মায়ের উপর কিরকম প্রভাব পড়তে পারে সেটা বুঝে ওঠাটা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় একজন হব মায়ের জন্য কিসমিসের কিছু উপকারিতার কথা নিচে আলোচনা করা হলো।
  1. প্রোটিন .
  2. ফাইবার .
  3. ভিটামিন এবং খনিজ.
  4. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় .
  5. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে .
  6. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে .
  7. দাঁতের আচ্ছা তোর মতো করতে সহায়তা করেন.
  8. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে স্বস্তি আনে.
  9. রক্তকণিকা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে.
  10. পাচন তন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে.
  11. শক্তি যোগায়.
  12. রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোধ করে.
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি
যদিও কিসমিস আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ মাথায় ভালো, তবে সে ক্ষেত্রে খুব বেশি কিসমিসের ব্যাপারে আবার কিছু সমস্যা আছে। খুব বেশি মাত্রায় কিসমিস খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। আপনি যদি এটি খেতে ভালবাসেন, তবে সেটি মুঠো ভরে একবার খাওয়ার আগে অত্যন্ত পক্ষে দুবার করে সে ব্যাপারে ভাবুন। কিন্তু কখনোই সেটি অত্যধিক পরিমাপে খাবেন না। জানুন কেন-
  1. খুব বেশি মাত্রায় কিসমিস খেলে তা আপনার রক্ত শর্করায় মাত্রায় বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  2. আবার কিসমিস খুব বেশি খেলে তা থেকে গর্ভাবস্থাকালীন ডাইবেটিস দেখা দিতে পারে।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

কিভাবে খাবেন এই কিসমিস ভেজানো পানি রাতে ভিজিয়ে রাখুন কিসমিস। সকালে উঠে সেই পানি সামান্য গরম করে পান করে নিন খালি পেটে। এরপর আধঘন্টা অন্য কিছু খাবেন না। তবে কি আর রাখতে হবে যে, সপ্তাহে রোজ নয়, মাত্র ২ থেকে ৩ দিন এই পানি খেলেই পাবেন উপকার।

এবার জানবেন কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালবেলা সেই পানি খান। আগেও বলেছি ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিসমিস ভেজা প্রাণীর ভূমিকা রয়েছে।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

আপনি প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এর পাশাপাশি কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কোন কিছু মাত্রা অতিরিক্ত গ্রহণ করা কিংবা খাওয়া কখনোই ভালো না। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দিনে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যেতে পারে।

তারমানে দিনে আট থেকে দশটি কিসমিস খেতে পারে। এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। আপনি চাইলে প্রতিনিয়ত রাতে 30 থেকে 40 গ্রাম কিসমিস ভিজে রেখে পরে ভর্তি দিন সকালে উঠে খালি পেটে খেতে পারেন যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অনেক বেশি সহায়তা করবে এবং আপনার ওজন না বাড়ার মতো সমস্যার সমাধানে এটা অনেক বেশি কার্যকরী।

আপনার শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে কিসমিস। ৪০ রাম কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে এবং আপনার ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ একটি সাহায্য করবে। তবে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার বয়স, স্বাস্থ্যর অবস্থা এবং ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণের উপর।
এই পরিমানে কিসমিসে থাকে:
  • ক্যালোরি: ১২০
  • ফাইবার: ৩ গ্রাম
  • পটাশিয়াম: ২৩৫ মিলিগ্রাম
  • আয়রন: ১.৩ মিলিগ্রাম
  • ম্যাঙ্গানিজ: ০.৩ মিলিগ্রাম

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস আসলে আপনার জন্য ভালো। এটি আপনার শরীরকে আরও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। কিসমিস খাওয়া আপনার পেটের জন্য ভালো এবং আপনাকে বাথরুমে যেতে সাহায্য করে। কিসমিস ভালো ঘুমের ব্যবস্থা করে এবং শারীরিক ও মন মেজাজ দুটোকেই শান্ত রাখে।

ঘুম ভালো না হলে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতা ও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে কিসমিস। কিসমিসে যে আয়রন রয়েছে তা ভালো ঘুমে সাহায্য করে। আমরা সবাই জানি আয়রন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা শুধু মাত্র হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে না।

বরং বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া আপনাকে ভালো বিভিন্ন উপায়ে আপনার শরীরের জন্য ভালো। তারা বাথরুমে যাওয়া সহজ করতে সাহায্য করতে পারে। এবং তারা বর্জ্য পরিত্রান পেতে সাহায্য করার জন্য আপনার পায়খানা আরো পদার্থ যোগ করে। কিসমিস খেলা আরো মজবুত হয়।

রাতের খাবারের পর কিসমিস খাওয়া আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার আরো স্ন্যাকসের সম্ভাবনা কম করে তোলে। এমনকি আপনি যদি অনেক অসুস্থকর খাবার খান তবে এটি আপনার ওজন কমাবেন না। এছাড়াও কিসমিস খেলে আপনার দৃষ্টি শক্তি ভালো হতে পারে।

ঘুমের আগে কিসমিস খাওয়া যাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের সাহায্য করতে পারে। এটি আপনাকে আরো ভালো ঘুমাতে এবং কম ব্যথা অনুভব করে জেগে উঠতে পারে। কিসমিসে প্রচুর ভালো উপাদান রয়েছে যা আপনাকে সুস্থ অনুরোধ করতে পারেন। কিসমিস আপনার চোখের জন্য ভালো এবং আপনার রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখত সাহায্য করতে পারেন।

কিসমিস খেলে হারকে শক্তিশালী করে এবং আপনার শরীর তো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। আপনাকেও ওজন কমাতে এবং আপনার রক্তে মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। কিসমিসে পটাশিয়াম থাকে যা আপনার রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপনার যদি খারাপ হার্ড বা ডাইবেটিসের মত কিছু অসুস্থতা থাকে তবে কিসমিস খাওয়া তাদের ঘটতে বাধা দিতে পারে‌।

কিসমিস আপনাকে ভালো ঘুমাতে এবং আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করার জন্য সত্যিই ভালো। ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে চাইলে রাতের খাবারের পরে খেতে পারেন কিসমিস।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে বেশ কিছু কিসমিস খেলে হারও মজবুত হয়। উপকারিতা পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি দূর করে কিসমিস ভেজিয়ে রাখলে এতে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য পোস্টে উপাদান শরীরের শোষিত হয়।
ফলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি দূর হয়। সকালে ভেজানো কিসমিস খেলে মিলবে যে সব উপকারিতা।
  1. কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাপ বাড়ায়।
  2. প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে।
  3. শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  4. কিসমিস হৃদক্রিয়া ভালো রাখে।
  5. কিশমিশে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে।
  6. কিসমিস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  7. কিসমিস প্রাকৃতিক শর্করায় পূর্ণ এবং অল্প পরিমানে খেলে আপনার মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে।
  8. কিসমিস ক্যালসিয়াম ও বোরন সমৃদ্ধ হতে দাঁত ও হাড় গঠনে কাজ করে।
  9. কিশমিশে আছে প্রাকৃতিক আন্টি অক্সিডেন্ট। যা সহজেই রোগমুক্তির কারণ।
  10. কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। কিসমিসের পানি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই পানি খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। পাশাপাশি কিডনি ও ভালো থাকে।
  11. কিসমিসে আছে প্রচুর আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ফাইবার।
  12. কিস মিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি,‌ সেলেনিয়াম, জিংক‌ এর সম্মিলিত ক্রিয়া ত্বককে সুস্থ, সুন্দর রাখে।
যারা বেশি উপকার পেতে চান তারা রাতে দুই কাপ পানিতে একটু কিসমিস ভিজিয়ে রেখে দিন। কিসমিস যত গাঢ় রঙের হবে তত উপকারী। পরের দিন সকালে ওই কিসমিস ছেঁকে নিন। এবার কিসমিস ভেজানো পানিটা হালকা গরম করুন। এবার খালি পেটে পানি টি খেয়ে নিন। বিষমুক্ত শরীর কে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খাওয়ার নিয়মিত।

আরও পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা

চারিদিকে দুজনে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া সম্পন্ন নিরাপদ এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে পারে। আপনার কোন কারনে সন্দেহ থাকলে, নিজের ডাক্তারের সাথে কথা বলতে ভুলবেন না।

কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে

সাধারণত কিসমিস খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়ায়। সবাই ওজন কমাতে চায় না। এমন অনেক মানুষ আছে যারা ওজন বাড়াতে চায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান সে ক্ষেত্রে কিসমিস হতে পারে আপনার পরম বন্ধু। আপনি সাধারণভাবে নিয়মিত প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন আপনার দেহকে শক্তিশালী এবং ওজন বাড়াতেই অনেক সাহায্য করবে।

দৈনিক ৩০ টাকা ৪০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর পরিমাপের হিসাবে পর্যাপ্ত হতে পারে। এই পরিমানে কিসমিসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ক্যালরি এনার্জি আছে যা আপনাকে সক্রিয় থাকতে সাহায্য করবে। এবং পুরোপুরি ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে না। কিসমিস খেলে ওজন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে তবে কত পরিমান।

কিসমিস খেলে ওজন বাড়বে এটা ব্যক্তিত্ব নৈতিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে। কিসমিস হল খাবারের একটি উৎপাদন এবং সম্পূর্ণরূপে ওজন ভারতে এটি কেবলমাত্র খালি সম্ভবত সামান্য প্রধান বিষয়টি হবে। কত পরিমান কিসমিস খাওয়াও উপযুক্ত বা সম্প্রসারণিত হবে তা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য স্থিতি বয়স লিঙ্গ বৈদ্যুতিক সম্পদ এবং দৈনিক পুষ্টিকর খাদ্য বর্তমান পরিমাণ উপর নির্ভর করবে।

শেষ মন্তব্য

আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনি আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পেরেছেন। আমি আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিসমিস এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার বন্ধু বান্ধব আপনারা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url