পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়
পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়, চুল সৌন্দর্যের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে। তাই ছেলে, নিউ ও ভাই চুলের সুস্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। ব্যস্ত জীবনের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চুল ঝরে পড়া ও পাতলা হয়ে যাওয়া। এই সমস্যার চট জলদি সহজ সমাধান চাইলে ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক ভেষজ, সুষম ডায়েট আর যোগাসনের ওপর।
প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে ভরসা রাখা হয়তো আয়ুর্বেদশাস্ত্র ও প্রাকৃতিক উৎপাদনের ওপর। আধুনিক ডার্মাটোলজিস্টদের গবেষণা ও প্রমাণ মিলে সে এইসব তথ্যের। তাই পাতলা চুল ঘন করতে ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক উপায় এর উপর।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়
.
ভূমিকা
দিনের পর দিন চুল পাতলা হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এটা সবার জন্যই খুবই বেদনাদায়ক। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, পুষ্টির ঘাটতি, এনার্জি, হরমোন ভারসাম্য, ঠিকমত চুলের যত্ন না নেয়ায় এবং জেনেটিক কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পড়া কমানোর জন্য এবং পাতলা চুল ঘন করা সহজ উপায় আছে।
চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানা আপনাকে স্বাস্থ্যকর সুন্দর স্ট্যান্ড গুলি বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অনেক প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং টিপস থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। পাতলা চুল পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। এটা বিরক্ত কর।
পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায় পাঁচটি
ঘন আর সুন্দর চুলের আকাঙ্খা থাকে সবারই। অনেক সময় চুল ঘন হলেও বিভিন্ন কারণে তা ঘন দেখায় না। আবার কখনো চুল পড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে এ চুলের ঘনত্ব কমে। তবে এইসব প্রতিরোধে ও আছে উপায়। কিছু সহজ উপায়ে রয়েছে যার মাধ্যমে চুল সহজেই ঘন করে তোলা সম্ভব। পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায় চলুন তবে জেনে নিন-
মেথি
পাতলা চুল ঘন করা যায় মেথি ব্যবহারেও। কিভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক ২ টেবিল চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন ভিজিয়ে রাখা মেথি দানা ছেঁকে নিয়ে এর সাথে হাফ কাপ পরিষ্কার পানি যোগ করে ব্লেন্ডার-এ মস্তান ভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
এবার এই পেস্টটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন তিরিশ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুলের বৃদ্ধির জন্য মেয়েটি একটু শ্রেষ্ঠ উপকরণ। এটি স্ক্যাল্প-এর প্রদাহ দূর করে, খুশকি তারা এবং চুল মজবুত করে।
মেহেদী
পাতলা চুল ঘন করা যায় মেহেদির ছোঁয়াতে। কিভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক। মেয়েটি পাতা অল্প প্যানে দিয়ে বেটে নিন। আপনি চাইলে এর সাথে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল যোগ করতে পারেন। এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এবং লেবু এড করে নিতে পারেন। এরপর এটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে শাওয়ার ট্যাব দিয়ে চুল আবৃত করে রাখুন ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট।
তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যক্তি মাসে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন। এটি চুলকে ভেতর থেকে মজবুত এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। এবং মার্কেটে হেনা প্যাক কিনতে পাওয়া যায় তাই মেহেদি পাতা বাটাবাটির ঝামেলা এড়াতে সেটাও ইউজ করতে পারেন।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী
পাতলা চুল ঘন করা যায় ঘৃণা কুমারীর সঠিক ব্যবহার করার মাধ্যমে। এর জন্য একটি অ্যালোভেরা পাতা থেকে চামচ বা ছুড়ির সাহায্যের জেলটি বের করে নিন। জেলটা কে মসৃণ ভাবে পেস্ট করে নিন। এবার মাথার স্ক্যাল্প-এ ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
এভাবে প্রতি সপ্তাহে দুইবার ইউজ করতে পারেন। অ্যালোভেরা স্ক্যাল্প-এর মৃত কোষ মেরামত করে চুলের গোড়া মজবুত এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি চুলের ভলিউম এনে দেয়। পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করার সুযোগ না থাকলে অ্যালোভেরা জেল কিনে নিতে পারেন।
ডিম
একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙ্গে নিন। এবার এর সাথে যোগ করুন এক টেবিল চা চামচ অলিভ অয়েল। এই দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। এবার একটি শাওয়ার কাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
প্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার। ডিমে আছে প্রোটিন এবং ফাইবার যা চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চুলকে করে তোলে ঝলমলে ও সিল্কি। আর ডিমের সাথে থাকা অলিভ অয়েল ও চুল ঘন ও সিল্কি করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
আমলকী
এক টেবিল চামচ আমলকি গুড়ার সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এতে টক দই মিশিয়ে নিলে সেটা চুলের জন্য আরও বেনিফিসিয়াল হবে। চুল ড্রাই ও ড্যামেজ হলে মধুও এড করা যেতে পারে। ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করে এবার এটি চুলে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন এবং নরমাল পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন। মধু চুলে নারিসমেন্ট প্রোভাইড করে। আমলকিতে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন সি, যা চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখে এবং চুলের গোড়ায় কোলাজেন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে চুল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। লেবুর রস চুলের খুশকি দূর করে এবং আমলকি ঘোরার সাথে যুক্ত করে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
নিম
নিমের তেল দ্রুত চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলকে শক্তিশালী, সিল্কি ও উজ্জ্বল করে। নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে মাথার তালুর পুষ্টি পায়ে এবং চুলের শুস্কতা ও চামড়া ওঠার সমস্যা ও দূর হয়।
চুল গজানোর উপায়
আমাদের বয়স বাড়ার কারণে অথবা বংশগত বা পরিবেশে প্রভাবে চুল পড়ে যেতে থাকে। তুমি মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে যদি আমরা উদ্দীপনা দিতে পারি, তাহলে মাথায় নতুন চুল গজানো সম্ভব। পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায় প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটাকে যদি বাড়ানোর যায়, তাহলে ও নতুন চুল গজানো সম্ভব। মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায় প্রথম উপায় হল ম্যাসাজ করা। আপনি নিয়মিত চুল ম্যাসাজ করতে হবে।
এতে করে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং স্ক্যাল্প উদ্দীপিত হবে। চুলের গোড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। এই মৃত কোষগুলো স্ক্যাল্পে সঞ্চালন কমে যায়। অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে মাথাই ম্যাসাজের মত করে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন-
মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরনের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্য অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম-আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অত্যন্ত একটি রাখার চেষ্টা করুন।
আয়রন আর জিংক আপনার মাথার কষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন কিছু তৈরিতে এবং ক্ষয় রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর্জেন্ট নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনের জিংক আর আয়রন বিদ্যমান।
পেয়ারা, লেবু, কমলা, কামরাঙ্গা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বিথী এবং গজানোর জন্য সহায়ক। কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্য সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং চুল আঁচড়ানো। কিন্তু অতিরিক্ত আঁচড়ানো চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন নিয়মিত ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে। মেহেদী পাতা কিছুদিন ঘন ঘন ব্যবহার করুন। পাতা বেটে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল মেয়েদের অত্যন্ত প্রিয় একটা জিনিস কিন্তু বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যাওয়া চুল নিয়ে সবাই চিন্তিত। চুল পড়ে যাওয়ার ফলে চুল হয়ে যায় পাতলা। তখন যেভাবেই চুল বাঁধন না কেন কোনোটিই ভালো দেখা যায় না। চুল যেমন একটি মেয়ের আসল সৌন্দর্য তেমনি একটি ছেলেরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে চুল।
তবে মেয়েরা চুলের প্রতি একটু বেশি যত্ন। এতক্ষণে আপনি জেনেছেন পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়। আজ আমি আপনার সাথে শেয়ার করব চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনাকে কিছু টিপস মেনে চলতে হবে। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনি বিশেষ কিছু টিপস ফলো করতে পারেন।যেমন: কলা এটি আমাদের চুলকে গোড়া থেকে পুষ্টি দান করে।
আরও পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার দশটি উপকারিতা
পেঁয়াজ আমাদের চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। পেয়াজে থাকা সালফার ও কোলাজেন আমাদের চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। রেগুলার পেঁয়াজের রস ইউজ করলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা তাই আর থাকবে না। পেঁয়াজের রস চুলে লাগিয়ে ২৫/৩০ মিনিট রেখে দেন।
এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। বর্তমানে চুলের নানা রকম সমস্যার মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। শীত বর্ষা গ্রীষ্ম প্রায় সব ঋতুতে চুল পড়তে দেখা যায়। চুল পড়ার সমস্যায় ছেলে এবং মেয়ে নবীন প্রবীণ প্রায় সব বয়সের মানুষের ভোগেন। কিন্তু কোন চুল পড়ে যাওয়া বা কিভাবে চুল পড়া কমাবেন জানেন কি।
ছেলেদের চুল ঘন করার তেলের নাম
ছেলেদের চুল ঘন করার জন্য বিভিন্ন তেল ব্যবহার করা হতে পারে। এই তেল গুলির মধ্যে কিছু প্রধান হলো:
- কোকোনাট তেল: এটি ছেলেদের চুলের সুষম দেখভাল করে এবং ঘন করে।
- অলিভ অয়েল তেল: অলিভ অয়েল তেল এর মাধ্যমে জল নির্মাণ করা হয়ে থাকে যা পুরোপুরি প্রাকৃতিক।
- আর্গণ তেল: এটি সবুজ, বড় ও তুষার প্রিয় চুলের জন্য উপযুক্ত একটি তেল। এটি চুলের আরাম প্রদান করে এবং ঘন ও প্রফুল্ল করে।
- আলমন্ড তেল: আলমন্ড তেলে বরফের পাথরের তৈরি তারকা আমিনো এসিড রয়েছে যা চলে ম্যালানিন প্রতিরোধ করে।
- জোজোবা তেল: এটি জলের জন্য খুবই উপকারী একটি তেল, সেটি চুলের রুখো তাপ দূর করে এবং তা মুস্তক এবং ক্রোমিয়াম এক্সাইডর ধারণা করে।
তেল গুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাতে আপনি ছেলেদের চোর কখনো করতে পারবেন। তবে এই তেল গুলি ব্যবহারের আগে আপনার চুলের ধরন এবং চুলের অবস্থা নিয়ে মতামত নিতে ভুলবেন না। যেকোনো নতুন পূর্ণ ব্যবহারের আগে প্রথমে প্রোব টেস্ট করতে হবে, কারণ এমন কিছু তেল মানুষের চুলের ধর্মগত প্রতিক্রিয়াতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মেয়েদের চুল ঘন করার তেলের নাম
মেয়েদের চুল ঘন করার জন্য বাজারে অনেক তেল পাওয়া যায় এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় তেলের নাম হলো -
নারিকেল তেল: নারিকেল তেল চুলের জন্য খুবই ভালো। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে লরিক এসিড যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এখনকার মহিলারা মাথায় তেল রাখতে ভুলেই গেছেন। তেলমুখী রাস্তায় বেরোলে দেখতে বাজে লাগবে, সেই জন্য তারা মাথায় তেল মাখেন না। কিন্তু না মেখে মেখে যে মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে।
সেদিকে বোধহয় কারো লক্ষ্য নেই। সেই মুহূর্তে মাথায় টাক পড়তে শুরু করল সেই মুহূর্তে ছুটে যাওয়াবে বিউটি পার্লারের পথে। সেখানে গিয়ে টাকা পয়সা খরচ করে আরো খানিকটা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া। এর থেকে যদি পুরনো আমলের একটি কথা মাথায় রাখেন তখন দেখবেন মাথায় কত চুল।
মা ঠাকুমা গোসলের পর নারিকেল তেলের টিনের ডিব্বা থেকে একটু তেল নিয়ে ব্রক্ষতালুতে ম্যাসাজ করতেন। এতোটুকুতেই তাদের মাথা ভর্তি চুল ছিল। বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ডের কোম্পানির ভালো নারিকেল তেল নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে মাসাজ করুন। এতে চুল ভেতর থেকে পুষ্টি লাভ করবে এবং চুল ওঠা বন্ধ হবে।
- রসুনের তেল: রসুনের তেলে থাকে অ্যালিসিন যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এছাড়া ও রসুনের তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
- পেঁয়াজের তেল: পেঁয়াজের তেলে থাকে সালফার যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এছাড়াও পেঁয়াজের তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
- আমলকির তেল: আমলকির তেলে থাকে ভিটামিন সি যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া। এছাড়াও আমলকির তেল চলে এর রং ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- থানকুনি পাতার তেল: থানকুনি পাতার তেল চুল ঘন করার জন্য খুব ভালো। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
- ব্রাক্ষী তেল: ব্রাক্ষী তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করে।
- বাদাম তেল: বাদাম তেলে থাকে ভিটামিন সি, B6 এবং প্রোটিন যা চুল ঘন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাদাম তেল চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করে তুলে নরমও মসৃণ।
- জোজোবা তেল: জোজোবা তেল চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এটি চুলের আদ্রতা ধরে রাখে এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করে।
- ক্যাস্টার অয়েল: ক্যাস্টার অয়েলে থাকে রিসিনোলেইন অ্যাসিড যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়ার রোধ করে। এছাড়াও ক্যাস্টার অয়েল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
- অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে থাকে ভিটামিন এ এবং e যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করে।
ছেলে এবং মেয়ের চুল ভালো রাখার উপায়
মাথা পরিষ্কার রাখা-
আমরা অনেকেই ভালো করে শ্যাম্পু করি না। শ্যাম্পু করার সময় কোন রকম কিপটামু করা যাবে না। সপ্তাহে অত্যন্ত দুই দিন খুব ভালো করে মাথা পরিষ্কার করতে হবে। নোংরা মাথায় অনেক রকমের ফাংগাস ইনফেকশন হতে পারে। যার জন্য মাথা থেকে প্রচুর পরিমাণে চুল উঠতে পারে।
সে ক্ষেত্রে বাড়িতে শ্যাম্পু তৈরি করতে পারেন রিঠা, আমলকি পাউডার, সিকাকাই পাউডার, অত্যন্ত ৭-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে এই তরল ভালো করে মাথায় ঘসে ঘষে শ্যাম্পু করতে পারেন। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে বাজারচলতি সম্পর্কে সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে তবে মাথায় ভালো করে ঘুরবেন।
সপ্তাহে দুইদিন হেয়ার প্যাক-
সপ্তাহে দুই দিন অন্তত চুলের খাদ্য দেওয়া ভীষণ প্রয়োজন। এর জন্য আপনাকে উপযুক্ত হেয়ার প্যাক বানাতে হবে। এই হেয়ার প্যাক বানানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা ডিম। তবে যাদের ডিমের সমস্যা আছে তারা নাও দিতে পারেন।
কাঁচা ডিম টক দই একটা পাকা কলা সামান্য দুধ এলোভেরা জেল চাইলে এই সমস্ত উপাদানকে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করে অত্যন্ত এক ঘন্টা রাখার পরেই শ্যাম্পু করে ফেলুন।
খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন-
চুল ভালো রাখতে গেলে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পত্রিকার খাবার খাওয়া মানে কিন্তু সব সময় দামী দামী খাবার খাওয়া একদমই নয়। আপনি সারাদিনে অত্যন্ত যেকোনো একটা মৌসুমী ফল খেতে পারেন। আপেল, পেয়ারা, লেবু, যা খুশি সারাদিনই একটি আমলকি আপনাকে খেতে হবে। আমলকি চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। সারাদিনের সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার দশটি উপকারিতা
সবুজ শাকসবজি চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। কারি পাতা ফুটানো পানি যদি মাঝেমধ্যে খেতে পারেন তো এটিও আপনার চুলের জন্য ভীষণ ভালো। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ যোগব্যায়াম এবং শরীরের অক্সিজেন যত বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ ব্লাড সার্কুলেশনের যত বৃদ্ধি পাবে, তত আপনার চুল সুন্দর এবং সতেজ ও পুষ্টিকর হয়ে উঠবে।
কয়েকটি জরুরী টিপস-
রাতে শুতে যাওয়ার সময় চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে নিয়ে ভালো করে বেঁধে শুতে হবে।
বাইক বা গাড়িতে যদি জানলার ধারে বসে কোথাও বেড়াতে যান তাহলে চুল খুলে রাখবেন না, চুল খুলে রাখলে কিন্তু চুলে প্রচন্ড পরিমাণে জোট করবে এবং যার ফলে আঁচড়ানো সময় চুল প্রচন্ড পরিমাণে ছিড়ে যেতে পারে। চুলে কোনরকম খারাপ কেমিক্যাল অথবা খারাপ শ্যাম্পু বা কেমিক্যালযুক্ত হিয়ার সিরাম অথবা কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়।
চুল পড়া বন্ধের শ্যাম্পু:
চুলে তেল দিয়ে বাইরে বের হতে হবে কথা তো কেউ ভাবতেই পারে না, আমাদের চুল অনেক ড্যামেজ হয়ে যায়। তাছাড়াও চুলকে শাইনি দেখাতে আমরা প্রায় রেগুলার চুলে শ্যাম্পু ইউজ করে ফেলি। যার ফলে আমাদের চুল ভেঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং চুল পড়া যাওয়া ও খুশকির মত সমস্যা দেখা যায়।
তাহলে উপায়? শ্যাম্পু ব্যবহারে আমাদেরকে অনেক সচেতন থাকতে হবে। শ্যাম্পুতে থাকে নানা ধরনের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট যেগুলো বারবার ইউজ করলে আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি যে শ্যাম্পুতি ব্যবহার করবেন সেটিতে যেন অবশ্যই নিজের উপাদানগুলো সঠিক মাত্রায় থাকে।
- ভিটামিন ই ।
- মিনোক্সিদিল।
- অলিভ অয়েল।
- করাটিন।
- ভিটামিন বি৭।
- বিওটিন
- আর্গণ অয়েল।
এইসব গুলো উপাদান যে শ্যাম্পুতে আছে সেই সম্পত্তি চুল পড়া বন্ধের সবচেয়ে কার্যকরী শ্যাম্পু।
চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম:
চুল পড়া বন্ধ করতে গেলে আমাদের চুল ও স্ক্যাল্পকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। চুল পরিষ্কার না থাকলে চুলের বৃদ্ধি ও হবে না আবার চুল বেশি করে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। চুল পরিষ্কার রাখতে কেমন শ্যাম্পু ইউজ করবেন সেটা তো জেনে নিলেন।
কিন্তু শুধু ভালো শ্যাম্পু হলেই তো হলো না শ্যাম্পু টি কে সঠিকভাবে ইউজ করতে জানতে হবে। আমরা অনেকেই চুল পরিষ্কার করতে যেতে অধিক মাত্রায় শ্যাম্পু ইউজ করি আবার কেউ এতই কম শাম্পু ইউজ করি যে চুল সঠিক করে পরিষ্কার হয় না। এই দুটোই কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি। হেতে চুলের বেশ ক্ষতি হয়।
অধিক সম্পদে চুলের গোড়া থেকে ন্যাচারাল অয়েল ধুয়ে যায় আবার কম শ্যাম্পু ইউজের ফলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমে থেকে চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দেয়। তাই আমাদের জানতে হবে সঠিক মাত্রাই শ্যাম্পু ইউজ করা। আপনার চুলের লেনথ অনুসারি শ্যাম্পু নিতে হবে এবং সপ্তাহে শুধু দুইবার শ্যাম্পু করতে হবে। সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু করাতেও বেশি চুলের জন্য একদম ভালো নয়।
সর্বশেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায় এবং চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। আমি আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত। হয়েছেন এবং বিস্তারিত সবকিছুই জানতে পেরেছেন। আমি মনে করছি আর্টিকেলটি থেকে সঠিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে আমাকে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব পরিবার আপনার আত্মীয়-স্বজনের কাছেই শেয়ার করবেন,ধন্যবাদ।
জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url