পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন
নিজ নিজ অনলাইনে এই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারলেও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা অনেকেই জানেনা। এর ফলে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এতে করে বাধ্য হয়ে দালালের শরণাপন্ন হতে হয়। তাই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বা কি কাগজপত্র লাগবে তা জেনে নিন চলেন।
বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশের ই পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করে আবেদন সংক্রান্ত কাগজ, শ্রী পরিষদের রশিদ প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বয়স ও পেশার উপর ভিত্তি করে অন্যান্য কাগজ লাগে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বিস্তারিত জানুন
.
ভূমিকা
জাতীয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলেই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের NID Card আছে তারা ভোটার আইডি ব্যবহার করে আর যাদের নেই তারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
পাসপোর্ট আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে অনলাইনে আবেদন নির্ভুলভাবে করার শর্তেও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক সমস্যার সমর্থন হতে হয়। এ পাসপোর্ট এর আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট না থাকলে আবেদন গ্রহণ করে না।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন অথচ জানেন না বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে গেলে কি কি কাগজ লাগে? জেনে নিন নতুন ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তাও ২০২৪ সালে। বর্তমানে পুরনো MRP পাসপোর্ট এর পরিবর্তে ই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
আর আপনি চাইলেও এখন আর এমআরপি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না, পাসপোর্ট রিনিউ কিংবা নতুন করে ইস্যু করার ক্ষেত্রে আপনাকে ই পাসপোর্ট দেওয়া হবে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট সেবা চালু হয়। বর্তমানে দালাল ছাড়া অনলাইন এর মাধ্যমে আপনারা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহজেই পাসপোর্ট আবেদন করা সম্ভব। সাধারণত পাসপোর্টের ধরন অনুযায়ী ডকুমেন্ট ভিন্ন হয়। তাই বিভিন্ন ধরনের পাসপোর্ট করতে আলাদা আলাদা কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে তা জানানো হবে এই লেখাটির মাধ্যমে। ই পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমত আপনাকে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
৫ বছর কিংবা ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়। এবং যাদের বয়স ২০ বছরের নিচে, তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। এছাড়াও পিতা মাতার আইডি কার্ড সহ নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে। পেশা প্রমান এর জন্য স্টুডেন্ট হলে শিক্ষাকার্ড এবং চাকরিজীবী হলে চাকরির কার্ড প্রয়োজন। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য NOC এবং GO প্রয়োজন। অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফি পরিশোধ করে, চালান রশিদ ও 3R Size এর ছবি প্রয়োজন হবে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি:
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি ৫৭৫০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
- জন্ম সনদ
- সাম্প্রতিক ছবি (নীল ব্যাকগ্রাউন্ড সহ)
- পাসপোর্ট ফি রসিদ
অতিরিক্ত কাগজপত্র (প্রয়োজন অনুসারে):
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- পেশাগত সনদপত্র (যদি থাকে)
- বিবাহ সনদপত্র (যদি বিবাহিত হন)
- পিতামাতার এনআইডি (১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের জন্য)
- গার্জিয়ানের এনআইডি ও সম্মতিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ (অতি জরুরী পাসপোর্টের জন্য)
মনে রাখবেন:
- সকল কাগজপত্রের ফটোকপি সাথে রাখতে হবে।
- কাগজপত্রের আকার A4 হতে হবে।
- সকল কাগজপত্র পরিষ্কার ও স্পষ্ট হতে হবে।
- ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। এটি দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলেছে
10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের জন্য তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে: লাল মলাট (কূটনৈতিক), নীল মলাট (দাপ্তরিক), এবং সবুজ মলাট (সাধারণ)। বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ১১৯তম। সাধারণ নাগরিকগণ সাধারণত সবুজ মলাটের পাসপোর্টই ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
একজন নাগরিক ১০ বছর এবং ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন, যার মধ্যে ৪৮ পৃষ্ঠার এবং ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের অপশন রয়েছে। আজকের আলোচনায় আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য।
১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট
১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্টের জন্য সাধারণত তিনটি প্রকারের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে: সাধারণ (২১ কর্মদিবস), জরুরী (১০ কর্মদিবস), এবং অতি জরুরী (২ কর্মদিবস)।
ফি তালিকা
- ৪৮ পৃষ্ঠা সাধারণ পাসপোর্ট: – সাধারণ ফি: ৫,৭৫০ টাকা – জরুরী ফি: ৮,০৫০ টাকা – অতি জরুরী ফি: ১০,৩৫০ টাকা
- ৬৪ পৃষ্ঠা সাধারণ পাসপোর্ট: – সাধারণ ফি: ৮,০৫০ টাকা – জরুরী ফি: ১০,৩৫০ টাকা – অতি জরুরী ফি: ১৩,৮০০ টাকা
৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট
৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্টের জন্যও ৪৮ এবং ৬৪ পৃষ্ঠার অপশন রয়েছে। তবে এখানে শুধুমাত্র সাধারণ ফি প্রদানের অপশনটি আলোচনা করা হলো।
ফি তালিকা
- ৪৮ পৃষ্ঠা সাধারণ পাসপোর্ট: – সাধারণ ফি: ৪,০২৫ টাকা – জরুরী ফি: ৬,৩২৫ টাকা – অতি জরুরী ফি: ৮,৬২৫ টাকা
- ৬৪ পৃষ্ঠা সাধারণ পাসপোর্ট: – সাসাধারণ ফি: ৬,৩২৫ টাকা – জরুরী ফি: ৮,৬২৫ টাকা – অতি জরুরী ফি: ১২,০৭৫ টাকা
শিশুদের ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। তার সাথে শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আবেদনের সাথে অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় তা নিচে লিস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো-
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- Passport Application Summary
- Application Form
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
- 3R Size ছবি Lab Print, Gray Background
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বিন্দু, আজকে আমার আর্টিকেলটি ছিল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, ১০ বছর ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এইসব বিস্তারিত নিয়ে আজকে আমার এই আর্টিকেল। আমি আশা করছি আজকে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সম্পূর্ণ কিছু বুঝতে পেরে থাকলে বা এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url