অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা - পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরা উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি কি প্রতিনিয়ত অ্যালোভেরা খাচ্ছেন? কিন্তু আপনি এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা অ্যালোভেরা উপকারিতা- পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এই সম্পর্ককে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অ্যালোভেরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে। এইসব উপকার সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা - পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরা উপকারিতা
.
ভূমিকা
প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর উপকারিতার কোন সীমা পরিসীমা নেই। অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। রাস্তাঘাটে কিংবা বাজারে খুব সহজলভ্য এটি। রস হিসেবে খাওয়া যায় আবার ত্বকের প্রদাহে প্রতিষেধক হিসাবে ও লাগানো যায়।
এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, ও ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ও বি২, ইত্যাদিজা স্বাস্থ্য রক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে।
অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা
অ্যালোভেরা মহা ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ, যাহা গ্রাম বাংলায় অতি পরিচিত। পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক যেমন ইহা শরীরের রক্তের কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা যেমন কমায়, তেমনি ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ কমাতেও সহযোগিতা করে। তাছাড়া ক্ষতিকর পদার্থ টক্সিন শরীরে প্রবেশ করলে সেটা বের হতে সহযোগিতা করে।
ঘৃতকুমারীর এই জেল বা আঠালো পদার্থ ময়েশ্চারাইজার হিসাবে লোশন বা ক্রিমে অনেক সময় মিশিয়ে দেয়া হয় যাহা দারা রূপচর্চা কিংবা ক্ষতের চিকিৎসায় সরাসরি ব্যবহার করা হয়। এই গাঢ় আঠালো পদার্থে অ্যামাইনো এসিড ও নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
অবশ্য অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি গুণি বিদ্যমান। অনেক সময় অ্যালোভেরার সেবনের ফলে পেট জ্বালা পোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক সময় ত্বকে যদি আপনি ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বকের এলার্জির মত সমস্যা হতে পারে। অনেকেই এলোভেরা এলার্জির কারণ বলে মনে করে।
আরও পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার দশটি উপকারিতা এবং কাঁঠালের পুষ্টিগণ
অ্যালোভেরা বা গ ঘৃণা কুমারী উদ্ভিদ। এর পাতার মাঝে যে স্থিতি স্থাপক অংশটা আছে, তার মূল উৎপাদান পানি। এতে প্রচুর আন্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরের নানা উপকার করে। অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা চলুন দেখে নিই উপকার গুলো কি কি।
- কোষ্ঠকাঠিন্যতে উপকার করেঃ অ্যালোভেরার পাতার নিচের দিকে চটচটে হলুদ রঙের আঠালো একটি পদার্থ মেলে, এই উপাদানটি কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকর। তবে পাচনতন্ত্রের অন্য কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবে না এটা। তাই এই সমস্যায় অ্যালোভেরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
- ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে: ছোটখাটো কাটা-পোড়া, অ্যালার্জি, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি সারাতে অ্যালোভেরা খুব কার্যকর। অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর আর্দ্র ত্বকে যে বলিরেখা পড়ে না, সে তো সবাই জানেন। সরাসরি পাতা থেকে জেলটা নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
- অ্যালোভেরা জেল, মধু, দুধ, হলুদ অথবা সামান্য দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাস্কের মতো লাগালে ব্রণ তাড়াতেও দারুণ কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বকে অ্যালোভেরা, শসার রস আর দইয়ের মিশ্রণ লাগালে ত্বকের উপকার হয়।
- ওজন কমাতে অ্যালোভেরা: দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে অ্যালোভেরা। এর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন আর মিনারেল থাকে। থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম আর স্টেরল। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অ্যালোভেরার জুস খানিকটা তিতা। তাই ব্লেন্ডারে শাঁস, পানি, বরফ দিয়ে জুস করে সামান্য মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।
- চুল পড়া কমাতে: অ্যালোভেরার জুসে প্রোটিয়োলাইটিক এনজাইমস নামে এক ধরনের উৎসেচক থাকে, যা তালুর ত্বকের কোষগুলোর স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহার করলে বাড়বে চুলের দৈর্ঘ্য, কমে যাবে খুশকি, মাথার তালুর ইনফেকশন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে এবং চুল থাকবে নরম ও মোলায়েম।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়: বহু যুগ ধরে ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে অ্যালোভেরার জুস। বলা হয়, এই পানীয় নিয়মিত সেবন করলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করাটা সহজ হয়ে আসে।
পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
পুরুষ মানুষ সবসময় বাহিরে কাজ করে। মেয়েরা যেমন বাড়িতে থেকে সব সময় ত্বকের যত্ন ধরে রাখতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হয় না। যেহেতু বাহিরে কাজ করতে হয় নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে পুরুষদের রোদে পোড়া সমস্যা হতে অনেকটাই সহযোগিতা করে।অ্যালোভেরা জেলে পলিস্যাকারাইড ও ল্যাটটিনস এবং মিনারেলস ও ভিটামিন আছে।
পাতা থেকে অলিভেরা জেল সংগ্রহ করে পেস্ট করে ত্বকে ভালো করে মেসেজ করতে হবে। জেলে উপরোক্ত উপাদান থাকায় শরীর পোড়া থেকে এই জেলি রক্ষা করবে। অলিভেরায় প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পানি আছে।তাই ইহা ব্যবহার করলে শরীরের ত্বক আদ্র থাকে এবং সতেজ থাকে ও বয়সের ছাপ কমে যায়।
কোন বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে অথবা টান টান হলে অলিভেরা জেল ব্যবহার করলে ব্যাথা থাকে না এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফুটন্ত গরম পানিতে অ্যালোভেরা মিশ্রিত করে গোটা শরীর ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ যা আমাদের চারপাশে সবসময় প্রায় দেখা যায়। অ্যালোভেরা পুরুষদের স্বাস্থ্য, চুল ও ত্বকের যত্নে বিভিন্ন উপকারীতা রয়েছে।
চলুন নিচের দিকে অ্যালোভেরার কিছু উপকারিতা গুলো জেনে নি-
- অ্যালোভেরা রক্তের শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- অ্যালোভেরা ত্বকের উন্নতি সাধন করে ও বলিরেখা প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা, ব্রন, প্রদাহ, এরিথেমা ইত্যাদি দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- অ্যালোভেরা চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এটি চুলের খুশকি, রুক্ষতা, টাক পড়া, অ্যালোপেসিয়া ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে অনেক কার্যকরী।
- অ্যালোভেরা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সহায়ক। এটি গ্যাস্ট্রিক-আলসার, পানিশূন্যতা, কিডনি ও লিভারের সুস্থতা বজায় রাখে।
- অ্যালোভেরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও শরীরের অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। এটি রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
এছাড়াও অ্যালোভেরা মুখের ঘা, ডেন্টাল প্লেক, অ্যানাল ফিশার ইত্যাদি সমস্যা দূরীকরণে ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরা জেল বা রস সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো পড়তে পারেন। আশা করি আপনি অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা পেয়েছেন।
এছাড়াও অ্যালোভেরা দেহের:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও সক্রিয় করে তোলে এবং শরিরের ভারসাম্য রক্ষা করে। অ্যালোভেরা শরিরের সাদা ব্লাড সেল গঠন করে থাকে, এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে থাকে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরে জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা খাবার নিয়ম
আমাদের বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতে যে কয়েকটি কমন গাছ দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে অ্যালোভেরা একটি। অনেকেই এটি শখের বসে আবার অনেকে এর উপকারিতার কথা চিন্তা করে এই গাছ লাগিয়ে থাকেন। অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে। তাই এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ স্ট্রবেরির উপকারিতা অপকারিতা এবং নিয়ম
অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতি রয়েছে। এর ফলে এটি জুস বা অন্য কোনো উপায়ে সেবন করলে আমাদের শরীরের অনেক ক্যালরি এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। মূলত প্রতিদিন প্রত্যেকবার খাবার খাওয়ার ১৪ মিনিট আগে ১ চামচ করে অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন।
এভাবে অ্যালোভেরা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া উষ্ণ গরম পানির সাথে, মধুর সাথে বা লেবুর সাথে মিশিয়ে খেলেও অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা অনেক উপকার পাওয়া যায়। আপনি অ্যালোভেরা বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। আপনি চাইলে কে সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
এছাড়া অনেকে অ্যালোভেরা জুস করে খেতে পছন্দ করে। এভাবে অ্যালোভেরা খেলেও এর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। তাছাড়াও আপনি যদি চান তবে সরাসরি গাছ থেকে তুলে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।
অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা
শরীরকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে অ্যালোভেরার রস খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ বেশ কিছু গবেষণায় একথা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার যেমন কোনও বিকল্প নেই, তেমনি এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগিয়ে আরও অনেক রোগকেই দূরে রাখা সম্ভব। যেমন ধরুন..
শরীর থেকে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়:
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই রসটা যদি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর পরিমাণ এত বৃদ্ধি পায় যে দেহের প্রতিটি কোণায় জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, এই সব টক্সিক উপাদানদের মাত্রা যদি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ রোগ ঘারে চেপে বসতে সময়ই নেয় না। তাই বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি!
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
সুস্থভাবে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চান তাহলে অ্যালোভেরা রস খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে;
শীত মানেই পিকনিক, সেই সঙ্গে এদিক-সেদিকের খাবার খাওয়া তো রোজের নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়েছে। আর এমনটা করতে গিয়ে কি পেটের হাল বেজায় বেহাল হয়ে পরেছে? তাহলে তো আজ থেকেই অ্যালোভেরা জুস খাওয়া শুরু করতে হবে।
কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজমের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি এবং কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে। এবার বুঝেছেন তো খাদ্যরসিকদের জন্য অ্যালোভেরা রস খাওয়ার প্রয়োজন
লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়:
অনেক নারীই অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালোভেরা প্লান্টের রস খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান দেহের ভেতরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়তে শুরু করে। ফলে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা
- চুলের যত্নে যারা বেশি সময় ব্যয় করতে পারেন না তাদের জন্য চটজলদি সমাধান এনে দিতে পারে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা জেল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে।
- চুলের সুস্থতায় অ্যালোভেরার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। কিছু মাইল্ড বা হারবাল শ্যাম্পু অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ থাকে। চাইলে সাধারণ শ্যাম্পুতে খানিকটা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হারবাল শ্যাম্পু বানিয়ে নিতে পারেন।
- চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর বদলে অ্যালোভেরা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যায়। নারিকেল তেল, লেবুর রস ও নারিকেলের দুধের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। চুল সতেজ থাকবে প্রতিদিন যে পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তার অর্ধেক অংশ কমিয়ে সেটা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে পূরণ করে নিন। চুল রুক্ষ হবে না সহজে
চুল সুস্থ রাখতে নিয়মিত তেল ব্যবহার প্রয়োজন। নারিকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগালে পারেন। চাইলে ঘরে বসেও বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালোভেরা হেয়ার অয়েল। চার ভাগের একভাগ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ভেজিটেবল অয়েল মিক্স করুন।
আরও পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার দশটি উপকারিতা
তারপর মিশ্রণটি ১০ মিনিট গরম করে ঠান্ডা করে নিন। শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে ও চুল পড়া কমবে। এছাড়া খুশকি দূর করতে লেবুর রস ও নারিকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন।
চুলের ঝলমলে ভাব বাড়াতে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। অনেক সময় রোদ ও ধুলাবালিতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। দুর্বল হয়ে মাঝখান থেকে ভেঙে পড়ে। শ্যাম্পু করার পর নিয়মিত অ্যালোভেরা কন্ডিশনার ব্যবহার করলে মুক্তি পাবেন এ সমস্যা থেকে।
বাজার থেকে না কিনে ঘরে বসে বানিয়ে নিতে পারেন কন্ডিশনার। এজন্য গামলার পানিতে একটি লেবুর রস মেশান। পাঁচ ফোটা নারিকেল তেল কিংবা তিলের তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বিন্দু, অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা অপরিহার্য। অ্যালোভেরার গুনাগুন সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। আমি মনে করছি আজকে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি অজানা কিছু তথ্য জানানোর জন্য।
আজকে এই অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা এবং পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরা উপকারিতা বিস্তারিত তথ্য যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আজকে এই আমার অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url