ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কি ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? আমরা অনেকেই ড্রাগন ফল খেয়ে থাকি। কিন্তু ড্রাগন ফলের যে খোসা রয়েছে সেটার উপকারিতা জানি না। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার? এই সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আমি এই সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা, ড্রাগন ফলের গুনাগুন, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
.
ভূমিকা
ড্রাগন নামটা শুনলেই যেন ড্রাগনের কথা মনে পড়ে। কিন্তু এই ড্রাগন সে ড্রাগন নয়। ড্রাগন এক ধরনের ক্যাকটস জাতীয় দেশি ফল। এটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারী এই ফল। এটা ভিটামিন বি, ফোলেট আয়রন রয়েছে, তাই এটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল।
গর্ব অবস্থায় ড্রাগন ফলে উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।
তাই আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণে আর্টিকেলে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
অনেকেই রয়েছে যারা ড্রাগন ফল খেতে অনেক পছন্দ করেন। কিন্তু এই যে উপকারিতা রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখেন না। তাই আজকে আমি আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে,ড্রাগন ফল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল।
ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Hylicereus Undatus, ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে।শরীরের জন্য ক্ষতিকর দূর করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ড্রাগন ফল। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে,ড্রাগন ফলের কালোজিরার দানার মত ছোট ছোট বীজে রয়েছে।
ওমেগা থ্রি,ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফল হার্টের জন্য অনেক উপকারী। ড্রাগন ফলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ড্রাগন ফল আমাদের দেশের সব জায়গা তেই চাষ হচ্ছে। ড্রাগন ফলে রয়েছে নানা রকম ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। ড্রাগন ফলের বিশেষ গুন রয়েছে।
ড্রাগন ফল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পুষ্টি গুনে ভরপুর। ড্রগন ফল খাওয়ার উওকারিতা গুলো হলোঃ
- এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের সুস্থ্যতার জন্য অপরিহার্য।
- ড্রাগন ফল ফ্যাট ফ্রি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।তাই এই ফল ডায়েট এর ক্ষেত্রেও রাখা যায়।
- এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল।
- রক্ত শূন্যতা থেকে বাচার জন্য এই ফল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়জনীয়। কারণ রঙিন ড্রাগন ফল আয়রন তৈরির উৎস ।
- ড্রাগন ফল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ড্রাগন ফল রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
- রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে । ফলে ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমে।
- ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং ছানি পরার ঝুঁকি কমে।
- এই ফলটি হার্টের জন্যও অনেক উপকারী।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা আপনারা সকলেই জানেন সব কিছুর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তাই ড্রাগন ফলেরও ঠিক তেমনি উপকারিতার পাশাপাশি অবকারিতাও রয়েছে অনেকেই ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করেন এই ড্রাগন ফল শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কিন্তু আপনারা কি জানেন ড্রাগন ফলের অপকারিতা কি কি রয়েছে হয়তো অনেকেই জানেন না তাই এই আর্টিকেলের অংশ থেকে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এছাড়াও বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ড্রাগন ফলের বীজ যদি আপনি চিবিয়ে না খান তাহলে আপনার কখনো কখনো হজম করতে সমস্যা দেখা দিতে পারি।
এছাড়াও আপনি যদি বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক জেনে নিন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের ১০টি উপকারিতা। আমরা হয়তো জানি না ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা কেমন। যার কারণে ড্রাগন ফল খেয়ে খোসা গুলো আমরা ফেলে দিই। অথচ ড্রাগন ফলের খোসাতে এমন চমকপ্রদ উপকার আছে যা জানলে অনেক অবাক হবেন। তাই আসুন ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা জেনে নিই।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ঃ অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যতায় অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেকের পাইলস সমস্যা হতে পারে। ড্রাগন ফলের খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। এইজন্য এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেয়ে নিন সরাসরি উপকারিতা পেয়ে যাবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়ে যাবে পর্যাপ্ত পায়খানা হবে।
ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করেঃ অনেকেরই ত্বকে ব্রণ হয়েছে এছাড়া কাল দাগ হয়েছে অথবা ত্বক খসখসে অথবা ফুসকুড়ি হয়েছে। আসুন জেনে নিই এগুলো তড়িৎ গতিতে ভালো করার উপায়। ড্রাগন ফলের খোসায় ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখে।
আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস খান। ব্রন ফুসকুড়ি সহ ত্বকের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ত্বক মোলায়েম ও স্বাস্থ্যাজ্জ্বল হবে। ত্বকে বয়সের ছাপ কমে যাবে।
আলসার হতে মুক্তিঃ প্রিয় গ্রাহক আপনার পেটে আলসার হয়েছে। আপনি ঠিকমত খেতে পারছেন না। আসুন এক চমকপ্রদ ঔষধের কথা জানাই। প্রতিদিন এক গ্লাস করে ড্রাগনের খোসার জুস খেলে পেটের আলসার ভালো হয়। পেটের হজম শক্তি বেড়ে যায়।
চুলের যত্নে ড্রাগনঃ চুল লম্বা করতে চাচ্ছেন চুল ঘন ও কালো করতে চাচ্ছেন। আপনার চুল খসখসে ভালো চুল করতে চাচ্ছেন। আসুন প্রতিদিন ড্রাগন খোসার পেস্ট মাথায় ব্যবহার করি। ড্রাগনের খোসার পেস্ট ব্যবহারের ফলে চুল পর্যাপ্ত প্রোটিন পাবে। চুল কালো লম্বা ঝরঝরে হবে।
এছাড়াও একমুঠো মেথি ড্রাগন ফলের খোসা দুটি তেজপাতা দুই তিনটা লং পেঁয়াজের খোসা এই সমস্ত উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে পানি দিয়ে ৩০ মিনিট জাল করুন। পানি যখন হলুদ অথবা লাল বর্ণ হয়ে যাবে পানি নামিয়ে নেন। পানিটুকু একটা বোতলে রাখুন। প্রতিদিন ঘুমানোর সময় মাথার চুলে ব্যবহার করুন। আপনি দুই সপ্তাহের মধ্যেই এর ফলাফল পেয়ে যাবেন।
হার্টের সাস্থে ড্রাগন খোসাঃ হার্টের স্বাস্থ্যে ড্রাগন ফলের খোসা অনেক উপকারী। ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে জুস করলে। জুসের ভেতর প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। প্রতিদিন এক গ্লাস জুস খেয়ে নিবেন। জুসে আপনার হার্টকে সতেজ ও শক্তিশালী করবে।
কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ প্রতিদিন এক গ্লাস করে ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেয়ে নিন। বর্তমানে কিডনির সমস্যা অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এছাড়া কিডনি অসুস্থ হলে চিকিৎসায় অনেক বেশি টাকা খরচ করা লাগে। প্রতিদিন ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে। কিডনির দুর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ড্রাগন ফলের খোসাঃ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিন সেটা আরো বেশি করে বাড়তেছে। প্রতিদিন এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। শরীরের দুর্বলতা ও কেটে যায়।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে ড্রাগনঃ সাধারণত কম্পিউটার টিভি অথবা মোবাইল ব্যবহারের কারণে অনেকেরই চোখের জ্যোতি কমে গেছে। এই ক্ষেত্রে এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেয়ে নিন। খোসায় ভিটামিন এ ওমেগা৩ রয়েছে। যা আপনার চোখকে সাস্থ্যাজ্জল করবে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করবে।
গিরায় ব্যথা দূর করাঃ আমাদের বয়স যখন ৪০ এর উপরে যায় তখন আমাদের অনেক সমস্যা হয়। যেমন পায়ে ব্যথা হাঁটুতে ব্যথা মাজায় ব্যথা ইত্যাদি। প্রতিদিন এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেলে ড্রাগন ফলের খোশায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা শরীরের হাড় ও পেশী অনেক শক্তিশালী করবে। জয়েন্টে ব্যথাগুলো নিরাময় করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ প্রতিদিন ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেলে খোসায় পর্যাপ্ত পটাশিয়াম আয়রন ও প্রোটিন রয়েছে। যাহা খাবার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ প্রতিদিন ড্রাগন ফলের খোসার জুস খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। যাদের ক্যান্সার আছে নিয়মিত খেলে ৮০ ভাগ পর্যন্ত ক্যান্সার নিরাময় হয়। ড্রাগন ফলের খোসার জুসে পর্যাপ্ত ওমেগা৩ ও পটাশিয়াম আছে যা ক্যান্সার নিরাময় সাহায্য করে।
ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চাঃ কয়েকটি ড্রাগনের খোসার নেন। পেস্ট করে নেন। পেস্টকৃত খোসায় টারমারিক পাউডার, এক চামচ লেবুর রস, ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এগুলো মুখমন্ডলে বা অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ কালচে দাগ দূর হবে।ত্বক উজ্জল হবে।ত্বকে বয়সের ছাপ কমে যাবে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়মগুলো নিম্নরূপ:
১. বিকল্প ভিন্ন ধরণের ড্রাগন ফলের মধ্যে থেকে নির্বাচন করুন। এটি উত্তম মানের ফলের নির্বাচনে সাহায্য করবে।
২. ড্রাগন ফলের বাইরের খোলের উপর দেখুন। এটি উত্তম অবস্থায় হলে খাবার যোগ্য হবে। যদি খোলে কোনো ক্ষতি বা পচনযোগ্যতা দেখা যায়, তবে ফলটি খাওয়া উচিত নয়
৩. ফলটি ধীরে ধীরে খেতে হবে। জবাবদিহিতা সহকারে টুকরা টুকরা খাওয়া উচিত।
৪. ড্রাগন ফল পুরোপুরি পাকা হলেই খাওয়া উচিত। অপরিপূর্ণ পাকা ফল খাওয়া উচিত নয়।
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। মাঝারি পরিমাণের খাবার সেবন করলে উপকারিতা বেশি হবে।
৬. যদি আপনার কোনো পূর্বনির্ধারিত খাবার সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তবে পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৭. ড্রাগন ফলের পরিবেশনা এবং সংরক্ষণে সাবধানতা অবলম্বন করুন। ফলটি পরিষ্কার ও পরিপূর্ণভাবে ধুয়ে নিন আরও মেয়াদশেষ হওয়ার পূর্বে নিশ্চিত করুন।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। মানুষের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে ড্রাগন ফল শুধুমাত্র যোগ্যভাবে খাওয়া উচিত।
ড্রাগন ফলের গুনাগুন
ড্রাগন ফলে ক্যালোরি থাকে অনেক কম। এতে থাকে পর্যাপ্ত ডায়েটরি ফাইবার। এক কাপ ড্রাগন ফলে থাকে ১৩৬ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম ফাইবার, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন-সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ এবং ফ্যাট একেবারে থাকেই না।
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে জলীয় শতাংশ থাকে প্রায় ৮৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪ গ্রাম (বলতে গেলে ফ্যাট নাই) এবং কার্বোহাইড্রেট ১১.০ গ্রাম। এছাড়া ভিটামিন সি থাকে ২০.০৫ মি.গ্রা., ভিটামিন বি১ থেকে ০.০৪ মি.গ্রা., ভিটামিন বি ২ থাকে ০.০৫ মি.গ্রা., ভিটামিন বি ৩ থাকে ০.০১৬ মি.গ্রা.।
মিনারেলসের ভেতর পটাশিয়াম ৩৫৯ মি.গ্রা, আয়রন ১.৯ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ৮.৫ মি.গ্রা., ফসফরাস ২২.৫ মি.গ্রা. থেকে । এছাড়া ৩ গ্রাম খাদ্য আঁশ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা ৯ ফাটি অ্যাসিড ও থাকে।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
অনেক মা আছেন গর্ব অবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।প্রকৃতপক্ষে যে ফলটি কোথাও পাওয়া যায় যা আপনার চাহিদা ও গর্ভের ভ্রণের জন্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।ড্রাগন ফল পুষ্টির একটি ভালো উৎসব।যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি হাইড্রো কমিক্যালস প্রোটিন এবং পটাশিয়াম রয়েছে।
ড্রাগন ফলের ভেতরে থাকা ভিটামিন বি ওয়ান মনের বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী।প্রোটিন শোষণকে উদ্বিপ্ত করে এবং কার্বোহাইড্রেট পোড়াতে এবং শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে।গর্ভাবস্থায়ী মহিলারা প্রায় কোষ্ঠকাঠিন্য মত প্রাচনতন্ত্রের অভিযোগ করেন।এ সমস্যাটা রাস করতে সর্বদা ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খাওয়া জরুরী।যার মধ্যে একটি হলো ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে।যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাওয়ার উপযুক্ত।ড্রাগন ফলের একটি অংশে ০.৩ থেকে ০. ৯ গ্রাম ফাইবার আছে বলে ধারণা করা হয়।ড্রাগন ফলের সামগ্রী যা কার্বোহাইড্রেট উৎসগুলোতে সমৃদ্ধ।মাতৃ স্বাস্থ্য এবং শিশুর বৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য প্রাকৃতিক শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।গর্ভাবস্থায় কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই বাড়বে।
যেখানে সাধারণত আপনি একই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেন।গর্ভাবস্থায় কেবলমাত্র শক্তির উৎস হিসাবে ফেড প্রয়োজন হয় না।আপনার পেটে বাচ্চার মস্তিষ্ক বৃদ্ধি সমৃদ্ধের জন্য ফ্যাটের প্রয়োজন।ড্রাগন ফলের একটি পরিবেশনে ০.১ থেকে ০.৬ গ্রাম ফ্যড থাকে।চিন্তা করবেন না ওদেরই তো ড্রাগন ফল গ্রহণ আপনাকে মোটা করে তুলবে না।ড্রাগন ফলে থাকা চর্বি সমৃদ্ধ ফ্যাট গুলোর উৎস নয়।তাই গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ানোর পক্ষে মা এবং শিশুর এটি নিরাপদ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং ড্রাগন ফলের অপকারিতা এবং খোসার উপকারিতা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এ আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে।
তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এরকম আরো আর্টিকেল পেটে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানাবেন।
জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url