আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন সম্মানিত গৃহপালিত পশু পালন ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা গরু পালনে আগ্রহী হয়ে আছেন বা গরু পালন করবেন এরকম মন মানসিকতা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন, তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই আপনাদের বলব আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ার অনুরোধ রইলো। আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা দিকে ফিরে যাব।
গৃহপালিত পশু পালন, গরু মোটা জাত অরুণ প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে যে সকল বিস্ময় গুলো সম্পন্ন করতে হবে।পোস্ট সূচিপত্রঃ আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
.
ভূমিকা
গরু পালন করতে হলে অবশ্যই আপনাদের ভাল জাতের গরু দেখে শুনে পালন করতে হবে। সব গরুকে কিন্তু ভালো খাবার খাওয়ালে ভালো মুনাফা পাবেন না। শুধু খাবার খাওয়ানোর টাকাটাই নষ্ট হবে। তাই আপনাদের দেখে শুনে বুঝে এমন গরু পালন করতে হবে যেন গরুর খাবার দিচ্ছেন ভালো এবং দুধ বাচ্চা ভালো দেয় এবং কিছুটা মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
একটি ছোট কিংবা মাঝারি ধরনের উন্নত জাতের গরু সমৃদ্ধ খামার, একজন যুবকের কর্মসংস্থানের ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে এই জন্য খামার ব্যবস্থাপনা ভালো হতে হবে। সাধারণত একটা লাভজনক স্থায়ী খামার করতে হলে ১০০ থেকে ২০০ গরু নিয়ে শুরু করাই ভালো।
কারণ তখন আধুনিক সব টেকনোলজির ব্যবহার করতে পারবেন। আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন। আসলে যে রকম একটা খামারে সচেতন পদ্ধতি খুব একটা কাজে দিবে না। মেকানিক্যাল ইন্টারভেনশন ছাড়া গরু পালন রিস্কি।
- পশুর জাত নির্বাচন বা মোটা তাজা করুন কর্মসূচি: গরুর জাত নির্বাচন প্রসঙ্গে মোটা করুন কর্মসূচি জন্য গরু ক্রয় এর সময়ে প্রধান দুইটি বিভক্ত বিষয় হলো বয়স ও শারীরিক গঠন।
- গরুর বয়স নির্ধারণ করা: গরম মোটা তাজা করুন করার জন্য সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরে গরু ক্রয় করা যেতে পারে তবে তিন বছরের গরু হলে ভালো হয়। গরুর শারীরিক গঠন মোটা যোগ করনের ব্যবহৃত গরুর দৈনিক গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এইজন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রেখে করুন নির্বাচন করা জরুরী।
কম খরচে গরু পালন
কম খরচে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন। সাধারণত যদি আপনি গরুর খামার করেন তাহলে কিন্তু অনেক টাকা খরচ হবে। আমার যদি করতে চান তাহলে কিন্তু অনেক টাকা খরচ হবে কারণ খামার করতে টাকা লাগবে আবার গরু কিনতে টাকা লাগবে। তাইতো আপনারা শুধু গরু কিনে প্রথমত বাড়ির আশেপাশে অল্প জায়গায় অল্প টাকা নিয়ে গরু লালন পালন করতে পারেন।
তারপরে এই গরু যখন দুধ এবং বাচ্চা দেওয়া শুরু করবে তখন আপনি এগুলোর দুধ ও বাচ্চা বিক্রি করে ভালো করে বড় করে টাকা খরচ করে খামার করতে পারেন। প্রথমত আপনাকে শুরু করতে হবে নাইলে কিন্তু কোন ভাবেই পারবেন না তবে শুরু করতে হবে কম টাকা নিয়েই। কম খরচে গরু পালন করা সম্ভব। বর্তমানে গরু পালন করে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে।
আমাদের দেশে বর্তমানে গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন খরচে গরু পালন কিভাবে করতে হয়। কম খরচে গরু পালনের প্রথম হচ্ছে গরুর খাদ্য তালিকায় কাঁচা ঘাস রাখতে হবে। কাঁচা ঘাস দিয়ে গরুর খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যায়। বর্তমানে গরুর দানাদার খাবারের দাম বেশি থাকাই গরুর উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন
তাই আমাদের গরু পালনের খরচ কমানোর জন্য কাঁচা ঘাস ও খড় ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম মাফিক পরিষ্কার পানি, কাঁচা ঘাস, খড় সরিষা ভাঙ্গানো খোল দিতে হবে। কম খরচে গরু পালনের আরেকটি উপায় হচ্ছে চারণ ভূমিতে গরুকে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে ফসলের পরে জমি কিছু দিন পতিত পড়ে থাকে।
সেই সব গুলোতে যদি গরুকে চরণ ভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে গরুর খাদ্যের অর্থে পরিমাপ কমে যাবে। আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন করলে কম খরচে আমরা গরু পালন করতে পারবো। আমরা গরুর খাদ্য তালিকায় যে সকল খাদ্য রেখে সে সকল খাদ্য গুলো উৎপাদন মৌসুমী সংগ্রহ করে রাখতে হবে। কেননা উৎপাদন মৌসুমের তুলনামূলক দাম কম থাকে। সেই ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন করা খুব সহজ।
গবাদি পশুর সুষম খাদ্য
যে খাবার ছয় প্রকার খাদ্য উৎপাদান পরিমিত পরিমাণে সরবরাহ করে তাকে শোষণ খাবার বলা হয়। যেমন- শ্বেতসার বা শর্করা, আমিষ বা প্রোটিন, চর্বি বা তেল, খাদ্য প্রাণ বা ভিটামিন, খনিজ লবণ ও প্রাণী।
সুষম খাদ্য
- শরীরকে রোগমুক্ত রাখার সাহায্য করে।
- শরীরের বৃদ্ধি ও বয় পূরণ করে।
- শরীরের শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা দেয়।
গবাদি পশুর খাদ্য প্রধানত দুইভাগে বিভক্ত-
- ছোবড়া বা আঁশ জাতীয় খাদ্য।
- দানাদার খাদ্য।
- ছোবড়া বা আঁশ জাতীয় খাদ্য: এ প্রকার গো খাদ্য আয়তনের তুলনায় পুষ্টি উপাদান তুলনামূলক কম থাকে। এটি প্রধানত শ্বেতসার বা শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপাদন সরবরাহ করে থাকে। এর পাচ্যতা কম তবে জাবর কাটা প্রাণীদের জীবনধারণ, বৃদ্ধি ও উৎপাদনের জন্য এই খাদ্যের পরিমিত সরবরাহ প্রয়োজন। ছোবড়া জাতীয় গোখাদ্য গুলো হল লেগুম বা শিম জাতীয় কচি ঘাসের খড়, নাড়া, খর বা বিচালি, গোচারণ ঘাস।
- দানাদার খাদ্য: যেসব খাদ্য আয়তনের তুলনা খাদ্য মান অপেক্ষাকৃত বেশি এবং সহজ পাচ্য তাকে দানাদার খাদ্য বলা হয়। দানাদার গো খাদ্য গোয়া খাদ্যগুলো হলো চালের গুড়া ঘুমের ভুষি ভুট্টা বিভিন্ন প্রকার খোল কালাই ছোলা খেসারি সয়াবিন ও শুকনো মাছের গুড়া ইত্যাদি। আমিশের পরিমাণ ভিত্তিতে দানাদার খাদ্যগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়।
- কম আমি সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- কুঁড়া, ভুসি ইত্যাদি (৫ থেকে ১৫ % আমিষ)।
- মধ্যম আমিষ সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন-খৈল, কালাই, ছোলা ইত্যাদি বিশ থেকে ২৫% আমিষ।
- উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- শুকনো মাছের গুড়া কসাই খানার মাংসের কণা, রক্তের গুঁড়া ইত্যাদি ৩৫ থেকে ৪৫% আমিষ।
গরুর বিভিন্ন জাত
দেশি গরুর মাংসের স্বাদ বিদেশি গরুর চেয়ে ভালো। তবে অনেকে বিদেশি গরুকে দেশি গরু ভেবে কিনে প্রতারিত ও হন। এজন্য ক্রেতাদের বেশি গরু চেনার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু কিভাবে চিনবেন দেশি গরু? আমাদের দেশে পাঁচ ধরনের দেশি গরু পাওয়া যায়। সেগুলো হচ্ছেই, স্থানীয় দেশি জাতের গরু, রেড চিটাগাং ক্যাটল, নর্থ বেঙ্গল, গ্রে, মুন্সীগঞ্জ ক্যাটল।
দেশি গরুর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা ছোট ও মাঝারি আকৃতির। এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশী পশু এক রঙের হয়। এদের পা চিকন ও শিং বড় হয়। গায়ের লোম ছোট এবং দেহ চকচকে হয়। এছাড়াও এর কুঁজ থাকে এবং গলার নিচে চামড়ার ভাজ কম থাকে।
দেশি প্রজাতির পাঁচ ধরনের গরু
- স্থানীয় দেশি জাতের গরু:
দেশের সবখানে এই ধরনের গরু পাওয়া যায়। এই গরু আকারে ছোট হয়। এর কুঁজ গঠিত থাকে। গলার নিচে চামড়া বেশ বিকশিত থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক ষাঁড়ের গলার নিচে চামড়া ঝুলে থাকে। কান লম্বা এবং পাতার মতো ভাজ হয়ে থাকে। এদের শিং বাঁকানো থাকে। গায়ের রং লাল সাদা-কালো ধূসর বা ছাইরংঙ কিংবা দুই বা ততোধিক রঙের মিশ্রণ ও হতে পারে।
এদের উচ্চতা খুঁজে বরাবর তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত হতে পারে। দিনের দুর্গ সামনের পায়ের গোড়া থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দূরত্ব। সাড়ে তিন ফুটের আশেপাশে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক একটি পুরুষ গরুর ওজন ২০০ থেকে আড়াইশো কেজি ও স্ত্রী গরুর ওজন দেড়শ থেকে ২২০ কেজি হয়ে থাকে।
- মুন্সিগঞ্জ ক্যাটল বা মিরকাদিমের ধবল গাই
মুন্সিগঞ্জ ক্যাটল প্রধানতম মুন্সীগঞ্জে মিরকাদিম উপজেলায় পাওয়া যায়। এই গরুকে সাধারণত মিরকাদিমের গরু বলা হয়। মুন্সিগঞ্জ ছাড়া এই পার্শ্ববর্তী জেলা ও এই গরু দেখা মিলে। মীরকাদিম জাতের গরুর গায়ের রং মূলত সাদা। তবে দেহের বিভিন্ন স্থানে হালকা গোলাপি রঙের আভাও দেখা যায়।
সিং, চোখের পাতা, খুর ও লেজের প্রান্ত দেশ গোলাপি বা গোলাপি ও কালো রঙের মিশেল হতে পারে। অন্য বয়স্ক একটি গরুর উচ্চতা ৩ থেকে ৫ ফুট হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ গরু ওজন ২৫০ থেকে ৩৫০ কেজি ও স্ত্রী গরুর ওজন ২০০ থেকে ২৮০ কেজি হয়ে থাকে।
মীরকাদিমের গরুর মাংসের আঁশ কম থাকে, এর হার চিকন হয়। ফলে মাংস হয় নরম ও তেলতেলে। এটি পালন সহজ মানে খাবারের খরচ কম। খৈল, গম, মসুর ডালের ভুষি এবং ভুট্টা গুঁড়ার মতো খাবার দিয়ে পালন করা যায়।
- রেড চিটাংগা ক্যাটল:
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাওয়া যায় এই ধরনের গরু। এর গায়ের রং লালচে। এর পাশাপাশি মুখ চোখের পাতা খুর এমন কি লেজের প্রান্ত ও লালচে রঙের হয়ে থাকে। এ গরুর দেহ তুলনামূলক ছোট হয়।
উচ্চতা কুঁজ বরাবর সাড়ে তিন ফুটের মতো হয়। দেহ লম্বায় সাড়ে তিন থেকে চার ফুটের কাছাকাছি হয়ে থাকে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক গরুর পুরুষ গরুর ওজন ২৫০ থেকে ৪০০ কেজি ও স্ত্রী গরুর ওজন দেড়শ থেকে 230 কেজি হয়ে থাকে।
- নর্থ বেঙ্গল গ্ৰে:
উত্তরা অঞ্চল জেলা গুলোর নর্থ বেঙ্গল গ্রো গরুর দেখা মিলে। এর গায়ের রং সাদা বা গাঢ় ধূর সার ও সাদা রঙের মাঝামাঝি যেকোনো রঙের হতে পারে। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গরুর ঘাড়ে ছাই রংয়ের ছোপ দেখা যায়। মুখ চোখের পাতা ও খোর কালো রঙের হয়ে থাকে। তবে লেজের প্রান্ত সাদা রঙের হয়।
গরুর শিং ছোট বা মাঝারি আকারের হয়ে থাকে এবং শিং ভিতরের দিকে বাঁকানো থাকে। একটি পূর্ণবয়স্ক গরুর উচ্চতা ৩ ফুটের একটু বেশি এবং দেহের দুর্গ সাড়ে তিন ফুটের কাছাকাছি হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক গরুর ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি ও স্ত্রী গরুর ওজন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি হয়ে থাকে।
- পাবনা ক্যাটল:
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় এই গরুর সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এই জাতের গরু বড় অংশটির রং সাদা বা সাদা মেশানো ছাই রং হয়। এছাড়া লাল ধূসর বা মিশ্র বর্ণের ও হয় এইসব গরু। পুরুষ গরুতে এর রং গাঢ় ধুরসর ও সাদা রঙের মাঝামাঝি যে কোন বর্ণের হতে পারে। মুখ চোখের পাতার সিংহ লেজের প্রান্ত দেশ কালো রঙের হয়।
এদের দেহ লম্বায় সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো আর উচ্চতা কুঁজ বরাবর চার ফুটের মত হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ গরুর ওজন ৩৫০ থেকে ৪০০ কেজি ও স্ত্রী গরুর ওজন আড়াইশো থেকে ২৮০ কেজি হয়ে থাকে। দেশীয় আবহাওয়া সহনশীল এইসব গরু পালনে খাবার কম লাগে। সিরাজগঞ্জ ব্রিড এর জাতের গরু মূলত পদ্মা পাড়ের কয়েকটি জেলায় হয়ে থাকে। এ জাতের গরু সঙ্গে পাবনা ক্যাটালে সাদৃশ্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরা উপকারিতা
তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন এটি পাবনা অ্যাপলের কে আকারে কিছুটা বড় হয়। এর খুঁজে উঁচু ও বলিষ্ঠ হয়। এইসব জাত ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাংসের চাহিদা মাথায় রেখে শাহীওয়াল এবং ব্রাহমা জাতের গরুর সাথে সংকরায়ন করে আরো কিছু যাতে প্রজনন ঘটানো হয়েছে, যেগুলো কুরবানী পশুর হাটে ক্রেতাদের মন জয় করেছে।
গরু পালনে আয় ব্যয়
আপনারা যারা গরু পালন করেন বা গরুর খামার করেন তারা কিন্তু অবশ্যই এই গরু পালনে আয় ব্যয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। নাইলে দেখা যাবে যে এক সময় এসে আপনি কোন মুনাফাই পাচ্ছেন না উল্টে লস এর মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। আপনার গরু যে খামারটা দিবেন সেটার হিসাব খুব ভালোভাবেই লিখে রাখবেন তারপরে যখন গরুর দুধ হবে সেটা বিক্রি করার মাধ্যমে কি ওই টাকা না উঠলে মনে করবেন যে কিছুটা লস।
কারণ গরু পালন করতে লাগলে আপনি যদি আয় ব্যয় হিসাব ঠিক ঠাক না করতে পারেন তাহলে কিন্তু সমস্যায় পড়বেন। সাধারণত দেখা যায় কিছু গরু যেগুলো কেনার পরে কিছু কারণে বিক্রি করতে গেলে লসে পড়ে যান তাই সেই ঘরগুলো কোন ভাবে পালন করা যাবে না। যে গরুগুলো বিক্রি করলেও লাভ হবে আবার বাড়িতে পালন করলেও লাভ হবে সেই গরুগুলো পালন করতে হবে তাহলে কিছুটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকে এই আমার আর্টিকেলটি ছিল আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে। আমি মনে করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনার কিছু অজানা তথ্য অবশ্যই খুঁজে পেয়েছেন।
আপনার যদি আধুনিক পদ্ধতিতে গরু পালন সম্পর্কে বিস্তারিত ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন দের কাছে শেয়ার করবেন। এতক্ষন আমার ওয়েবসাইটে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url