হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয়া পাঠক বিন্দু, আসসালামু আলাইকুম, হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। হার্টের রোগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং হার্ট অ্যাটাক অনেক যুবককে ও গ্রাস করছে। কেউ জানে না আপনার হৃদ রোগ হবে কিনা। আজকে পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদ রোগের ঝুঁকিও কর্মগত বাড়ছে, তবে আমরা বলবো যে স্বাস্থ্যকর জীবন ধরা বদলে হৃদরোগে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
হার্ট ভালো রাখার উপায় বা অভ্যাস মিনিট চললে হৃদরোগ থেকে আমরা সব সময় দূরে থাকবো। হাটকে কিভাবে রক্ষা করবেন কিছু সাহস টিপস আছে যা অনুসরণ করা যেতে পারে। আপনি যদি হাটকে স্বাস্থ্যকর রাখার টিপস জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
.

ভূমিকা

সুস্থ থাকার জন্য হার্ট ভালো রাখার বিকল্প নেই। সে যেন নিজের প্রতি হতে হবে বাড়তি যত্নশীল। নয়তো হার্টের অসুখ একবার দেখা দিলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ঠিক কোন নিয়মগুলো মেনে চলে হাট ভালো রাখা সহজ হবে সে কথাগুলো অনেকেই বুঝতে পারেন না।

সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ থাকে প্রথমে তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার। এর বদলে খেতে হবে পর্যাপ্ত সবুজ শাক ও সবজি। সেই সঙ্গে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে একটি বিশেষ মসলা। নাম তার মৌরি। এত উপকার পাওয়া যাবে দ্রুতই।

হার্ট ভালো রাখার উপায়

হাট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মৌলিক থাকে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। আমাদের হার্ট কে ভালো ডাকতে বেশ কার্যকরী এইসব উপাদান। যে কারণে নিয়মিত মৌরি ছেলেটা হার্টের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করবে। যাদের উজ্জ্বল রক্তচাপ এর সমস্যা রয়েছে তারা ও নিয়মিত মৌরি খেতে পারেন।কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মুখ্য ভূমিকা রাখে।

আপনি আমাকে মশলা খাবারের পাতে রাখলে দূরে থাকতে পারবেন অনেক রোগ থেকেই। হার্ট ভালো রাখার উপায় ছাড়াও এটি পেটের সমস্যা দূর করা, ক্যান্সার দূরে রাখা সহ আরো অনেক কাজ করে। মানসিক অশান্তি, অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি হিপ যন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। আর হৃদয় ভালো রাখতে চান সঠিক ও সুস্থ জীবন যাপন করতে চান। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে সেই পন্থাই এখানে দেওয়া হলো।
  1. ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপানের ফলে আয়ু 15 থেকে 25 বছর কমে যাবে। একজন ধুমপায়ীর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা একজন অধমপায়ীর তুলনায় দ্বিগুণ। ধূমপান বন্ধ করার মুহূর্ত থেকে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে।
  2. লবণ খাওয়া কমানো: অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। এর ফলে হৃদপিণ্ডের রক্ত সরবরাহকালীন ধমনী সম্পর্কিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  3. অ্যালকোহলের মাত্র কমানো: অতিরিক্ত অ্যালকোহল হৃদ পেশির ক্ষতি করে। রক্তচাপ বাড়ায় এবং পাশাপাশি ওজন ও বৃদ্ধি করে। তাই অ্যালকোহল গ্রহণ বাদ দেওয়া শরীরের জন্য ভালো। একবারে বাদ দেওয়া সম্ভব না হলে প্রতিদিন একটু একটু করে কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  4. কর্মচঞ্চল থাকা: প্রতিদিন অত্যন্ত ৩০ মিনিট শরীর চর্চা করা উচিত। তাছাড়া কর্মক্ষম থাকা কেবল হিট যন্ত্র সুস্থ রাখার জন্যই নয় এটি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হার্টের জন্য উপকারী খাবার

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় প্রাথমিক উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো হার্টের জন্য খাবার খাওয়া। সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনারা হার্ট ভালো রাখতে পারবেন। আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল হার্ট। এই অংশটি দেহের প্রতিটি প্রাণ দেয়া অক্সিজেনের পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তার ফলেই দোষ গুলি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে।

আরও পড়ুনঃ পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়

হার্ট ভালো রাখার উপায় তাইতো সুস্থ থাকতে হার্টের খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। তবে দুর্ভাগ্য বিষয় হলো, এখন বয়সের গণ্ডি মাত্র তিরিশ পেরনোর পরেই অসুখ নিচ্ছে। এইটা তালিকায় হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে অ্যানিমিয়া ও হার্ট ফেলিয়রের মতো প্রাণঘাতী অসুখ রয়েছে। তাদের কথায়, শুধুমাত্র ডায়েটে বদলা আনতে পারলে নানা ধরনের হার্টের অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
তাই আর দেরি না করে এমন সব খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
রোজ খান শাকপাতা:
হাত কি সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত শাক। কার নেটে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং আন্টি-অক্সিডেন্টের ভান্ডার। আর এই সমস্ত উৎপাদান কিন্তু হার্টের অসুখ কে ডজন করার কাজে সিদ্ধাহন্ত। এছাড়াও শাকে থাকে মজুত পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে। আর এই ভিটামিন রক্তনালীর সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রোজ ডায়েটে দ্রুত সম্ভব শাক পাতা কে জায়গা করে দিন। তাহলে হাতেনাতে মিলবে সুফল।

গোটা দানা শস্য খেলে হার্ট থাকবে চাঙ্গাঃ
হার্টের বন্ধু হলো গোটা দানা শস্য। এই ধরনের খাবারে শস্য তিনটি ভাগ, অর্থাৎ- জার্ম এন্ডোস্পাম এবং ব্রান উপস্থিত থাকে। আর সমস্ত উৎপাদন হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে জানাচ্ছেন হেলথ লাইন। জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণে কমবে। তাই আটা, ওটস, ব্রাউন রাইসের মতো গোটা দানা শস্য নিয়মিত‌ পাতে রাখুন। তাতে কমবে রোগ ভোগের আশঙ্কা।

ওয়ালনাট খাওয়া চাই-ই চাইঃ
ওয়াল নাটকে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম কপার ও ম্যাঙ্গানিজের মত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ। আর এই সমস্ত উৎপাদন ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। সানি নিয়মিত ওয়াল নাট খেলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে। এছাড়া এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা কিনা হৃদরোগ প্রতিহত করার কাজে সিদ্ধহন্ত। তাই প্রতিদিন একমুঠো ওয়ালনাট খেতে ভুলবেন না।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য সর্বোতম। এত তালিকা গত ফাইবার, বিশেষ করে দ্রবণীয় ফাইবার, পাচনতন্ত্রে কোলেস্টেরল সঙ্গে যুক্ত হয়ে এর নির্গমনকে সহজ করে। যার ফলের রক্ত এল ডি এল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়। এই ক্রিয়াটি‌ ধমনী ফলক তৈরি হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করেন। সেই সঙ্গে এথেরোস্ল্কেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টকের ঝুঁকি হাস পায়।

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার হলে ধরে নেওয়া হয় যে সব খাবার পরিহার্য হওয়া উচিত। হার্ট স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং হার্ট রোগের ঝুঁকিতে বৃদ্ধি করতে পারে। কিছু ক্ষতিকর খাবারের উল্লেখ কর নিম্নে দেওয়া হলো:

খাবারের ধরণ

উদাহরণ

ক্ষতিকর উপাদান

কীভাবে ক্ষতি করে





প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার

লাল মাংস (গরুর মাংস, ছাগলের মাংস, ভেড়ার মাংস), পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার (পুরো দুধ, মাখন, পনির), ভাজা খাবার (পোড়া ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড), প্রক্রিয়াজাত খাবার (বেকন, সসেজ, স্যালামি), কেক, কুকি, পেস্ট্রি (প্যাকেজজাত মিষ্টি)





স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট

LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, HDL (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তনালীতে প্লাক তৈরি করে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়




উচ্চ চিনির পরিমাণযুক্ত খাবার

চিনিযুক্ত পানীয় (সোডা, জুস, এনার্জি ড্রিঙ্ক), মিষ্টি (চকোলেট, ক্যান্ডি, আইসক্রিম), প্রক্রিয়াজাত খাবার (সিরিয়াল, গ্রানোলা বার), টেবিল চিনি (চা, কফি, খাবারে মিষ্টি করতে ব্যবহৃত)




            চিনি

রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়, রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়





লবণাক্ত খাবার

প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, ক্র্যাকার, ফ্রোজেন খাবার), রেস্টুরেন্টের খাবার (অনেক রেস্টুরেন্টের খাবারে লবণ বেশি থাকে), ফাস্ট ফুড (বার্গার, পিজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই)

           



           লবণ




রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়


অ্যালকোহল


           -


অ্যালকোহল

রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি করে, ক্যালোরি বৃদ্ধি করে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়



উচ্চ কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ফ্যাট

মিষ্টি, পেঁপে রোল, বেকারি পনির, পটেটো চিপস, বোরহানী, সামুসা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চটপটি, মুরগির চার্গা, ডোনাট, বরফক্রিম, আইসক্রিম, বাটার, ঘি, তেলের চিকেন ও 



কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ফ্যাট

LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, HDL (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তনালীতে প্লাক তৈরি করে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

অন্যান্য অনেক খাবারও হিট রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে কোন খাবার খাবেন সে সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

হার্টের রোগীদের জন্য উপযুক্ত খাবারের তালিকা নিম্নরূপ:
সকালের খাবার
  1. ওটমিল: সাইবার সমৃদ্ধ ও কোলেস্টেরলের কমাতে সহায়ক।
  2. ফলমূল: যেমন আপেল, বেরি, কলা ইত্যাদি।
  3. স্কিমড দুধ বাদাম দাম দুধ: কম ফ্যাট যুক্ত।
  4. সবুজ চা বা হাবাল চা: আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
  5. পূর্ণ শস্যে টোস্ট: সঙ্গে অ্যাভোকাডো বা লো- ফ্যাট পনির।
মধ্যাহ্নভোজন
  1. সবজি সালাদ: লেটুস, পালং শাক, টমেটো, শসা, গাজর, বীট ইত্যাদি সঙ্গে অলিভ অয়েলের ড্রেসিং।
  2. গ্রিল্ড মাছ: স্যামন, টুনা বা ম্যাকেরেল।
  3. কুইনোয়া বা ব্রাউন রাইস: ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ।
  4. দই: লো-ফ্যাট বা গ্রিক দই, ফলমূল ও বাদাম মিশিয়ে।
  5. লেবু পানি: সাধারণ পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে।
বিকালের নাস্তা
  1. বাদাম ও বীজ: যেমন আলমন্ড, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্লাক্সসীড।
  2. ফলের স্মুদি: বেদানা, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
  3. গাজরের স্টিকস ও হিউমাস: হিউমাস ডিপ হিসাবে ব্যবহার।
রাতের খাবার
  1. গ্রিলড চিকেন বা টার্কি: কম ফ্যাট যুক্ত প্রোটিন।
  2. স্টিমড সবজি: ব্রকলি, পালং শাক, গাজর, বেল পেপার ইত্যাদি।
  3. পূর্ণ শস্যের পাস্তা বা হোল গ্রেইন রুটি: হোল গ্রেইন পাস্তা সঙ্গে টমেটো সস বা অলিভ অয়েল।
  4. বিন স্যুপ: ব্ল্যাক বিন, লেন্টিল ইত্যাদি দিয়ে তৈরি।
  5. ডার্ক চকলেট: ৭০% বা তার বেশি কোকো কন্টেন্টযুক্ত।
অন্যান্য টিপস
  1. পানি: পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
  2. কম লবণ: লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  3. কম চিনি: চিনির পরিমাণ কমাতে হবে।
  4. ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন: বিশেষত ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার।
  5. এই তালিকা হার্টের রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে সহায়তা করবে। যেকোনো পরিবর্তন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

হার্টের জন্য উপকারী খাবার

হার্টের জন্য উপকারী কিছু খাবারের তালিকা রয়েছে।নিচে দেওয়া খাবারগুলো হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খাদ্যশ্রেণী

উদাহরণ

উপকারিতা

ফলমুল ও সবজি

পালং শাক, ব্রকলি, বেল, আপেল, বেরি, আঙুর

ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

পুরো শস্য

ওটমিল, ব্রাউন রাইস, পুরো শস্যের পাস্তা

ফাইবার যুক্ত, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক

মাছ

স্যামন, ম্যাকেরেল, সার্ডিন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ

বাদাম ও বীজ

আখরোট, আলমন্ড, চিয়া বীজ, ফ্লাক্সসীড

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবার যুক্ত

অলিভ অয়েল

-

মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের উৎস

বিন ও লেগুম

ব্ল্যাক বিন, কিডনি বিন, লেন্টিলস

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

ডার্ক চকলেট

৭০% বা তার বেশি কোকো কন্টেন্টযুক্ত চকলেট

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

সবুজ চা

সবুজ চা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

রেড ওয়াইন

রেড ওয়াইন

রেসভেরাট্রল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ (পরিমিত পরিমাণে

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ

হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হলে ‘হার্ট অ্যাটাক’ হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল’য়ের করা গবেষণার বরাত দিয়ে জানায়, ৫০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। এই লক্ষণগুলোর বিষয়য়ে সতর্ক থাকলে ও সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিপদের আগেই সাবধান হওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা - পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরা উপকারিতা

হার্ট অ্যাটাক রোগটির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। বিভিন্ন কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।তবে অনেকেরই ধারণা রয়োজ্যেষ্ঠদের হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হার্ট অ্যাটাক যে কোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।তবে রয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে থাকে। তবে হার্ট অ্যাটাকের আগে আপনি কিছু লক্ষণ বুঝতে পারবেন।

আসুনি জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের  লক্ষণ।

বুকে ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হয় বুকে ব্যথা।বুকের মাঝখান থেকে প্রচণ্ড চাপ ব্যথা এবং আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শ্বাসকষ্ট ও কাশি হওয়া: যদি হঠাৎ করে আপনার শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সময়ে যদি আপনার অ্যাজমা বা অন্য কোনো সমস্যা না থাকে তবে এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।এছাড়া দীর্ঘদিন কাশি থাকলে আর কাশির সঙ্গে সাদা বা গোলাপি বের হলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে না।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজের মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তাহলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্রুত কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঘাম হওয়া ও মাথা ব্যথা: অতিরিক্ত ঘাম ও মাথা ব্যথা দুটোই হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিকস রোগীর ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, মাথা ব্যথা ও অতিরিক্ত ঘাম, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।

অনিয়মিত পালস রেট: কোনো কারণ ছাড়াই যদি আপনার পালস রেট উঠানামা করে সেটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিতভাবে যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সর্বশেষ লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বিন্দু আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমি আশা করছি আপনার অজানা তথ্য কিছুটা তুলে ধরতে পেরেছি।

আপনার যদি হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার পরিবার বন্ধু বান্ধব এবং স্বজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url