ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা

ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে গুগল এ সার্চ দিয়ে জানার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু ওয়েবসাইট গুলোতে সেভাবে ক্যালসিয়াম খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা থাকে না। তাই আজকে আমার ওয়েবসাইটে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমাদের সুস্থ সবল জীবন যাপন করার জন্য অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হয়। আর সবসময় খাবার তালিকাতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি অপরিসীম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা
.

ভূমিকা

আমাদের এ আর্টিকেলে আজকে ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা, আরো ক্যালসিয়ামের অভাবে কি কি হয়, ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়, আর ফেটে গেলে কি কি খাবার খাওয়া, ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা, সবশেষে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার কোনটি আরো ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় জানবেন। আরে জন্য ভালো রাখে ক্যালসিয়াম।

এর ঘাটতি হলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার নয় বরং শরীরের বিভিন্ন রোগ সারাই এই খনিজ উৎপাদন। যেমন রক্ত জমাট বাধা, পেশির সংকোচন প্রসারণ ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা। তবে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটি আছে কিনা তা বুঝবেন কিভাবে? ক্যালসিয়াম এক ধরনের খনিজ। যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের হার ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ

ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ শরীরের রয়েছে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সমাধান নেন নইলে হাড় ছাড়াও নানা অঙ্গের হবে ক্ষয়ক্ষতি।ক্যালশিয়াম দেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। তবুও এই খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার দিকে আমাদের তেমন একটা ঝোঁক নেই। ফলে বয়স একটু বাড়ছে কিনা একাধিক জটিলতা পিছু নিচ্ছে। অনেকেই হাঁটু-কোমরে ব্যথা থেকে শুরু করে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

তাই সাবধান থাকা ছাড়া কোনও গতি নেই বললেই চলমুশকিল হল, ক্যালশিয়াম ঘাটতির কথা উঠলেই সবাই শুধু হাড়ের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে বিষয়টা তো একদমই তেমন নয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকলে হাড়ের ক্ষয়ক্ষতি হয় ঠিকই, তবে হাড় ছাড়াও দেহের অন্যান্য অঙ্গের উপরও এই সমস্যা প্রভাব ফেলে।

তাই এই খনিজের ঘাটতি নিয়ে অবশ্যই সচেতন থাকা দরকার। তাই আর দেরি নয় বন্ধুরা, বরং দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতির একাধিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিন। এই কাজটা করতে পারলেই একাধিক জটিল-কুটিল রোগব্যাধির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।ক্যালশিয়াম দেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। তবুও এই খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার দিকে আমাদের তেমন একটা ঝোঁক নেই।

ফলে বয়স একটু বাড়ছে কিনা একাধিক জটিলতা পিছু নিচ্ছে। অনেকেই হাঁটু-কোমরে ব্যথা থেকে শুরু করে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সাবধান থাকা ছাড়া কোনও গতি নেই বললেই চলে। মুশকিল হল, ক্যালশিয়াম ঘাটতির কথা উঠলেই সবাই শুধু হাড়ের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে বিষয়টা তো একদমই তেমন নয়।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকলে হাড়ের ক্ষয়ক্ষতি হয় ঠিকই, তবে হাড় ছাড়াও দেহের অন্যান্য অঙ্গের উপরও এই সমস্যা প্রভাব ফেলে। তাই এই খনিজের ঘাটতি নিয়ে অবশ্যই সচেতন থাকা দরকার। তাই আর দেরি নয় বন্ধুরা, বরং দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতির একাধিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিন। এই কাজটা করতে পারলেই একাধিক জটিল-কুটিল রোগব্যাধির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।

ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দাঁত
ক্যালশিয়ামের অভাব থাকলে তাঁর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে দাঁতের উপর। এক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, যেমন-

১. দাঁতের ক্ষয়
২. ভঙ্গুর দাঁত
৩. মাড়ির সমস্যা
৪. দুর্বল দাঁত ইত্যাদি।
এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মনের উপরও প্রভাব ফেলে ক্যালশিয়াম ডেফিসিয়েন্সি। এক্ষেত্রে অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সারাদিন ক্লান্তি​
কাজ করার পর ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে এমন কিছু পরিশ্রম না করেও সারাদিন ক্লান্ত থাকেন। তাঁদের এনার্জির কাঁটা সবসময়ই থাকে নীচের দিকে। এমনকী তাঁরা কোনও কাজে ঠিকমতো মন দিতেও পারেন না। এছাড়াও রাতেরবেলায় তাঁদের দুই চোখের পাতা এক না হতেও পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিলে বুঝবেন শরীরে রয়েছে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি। তাই চটজলদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হাইপোক্যালসেমিয়ার একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি গুরুতর হলে জীবন হুমকি হতে পারে। হৃৎপিণ্ড একটি পেশী। যদি হৃদপিন্ডের কোষগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না পায়, তবে তারা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দকে বন্ধ করে দিতে পারে। হৃৎপিণ্ডের পেশীতে খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে। এর ধমনীগুলোকে সংকুচিত করে।

1. দাঁতের স্বাস্থ্য বলে দিতে পারে শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব হয়েছে কী না। ক্যালসিয়াম দাঁতকে মজবুত করে। দাঁতে যন্ত্রণা, মাড়ি আলগা হয়ে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে সচেতন হন।

2. শরীরে ক্যালসিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কমে গেলে, শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। অস্টিয়োপোরেসিসের মতো রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।

3. শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেই পেশিতে ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি শুরু হয়। হাঁটাহাঁটি করার সময়ে উরুতে ব্যথা হয়। এ ছাড়াও হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

4. ক্যালসিয়ামের অভাবে চরম ক্লান্তিভাব আসতে পারে। ক্লান্তি থেকেই যে কোনো কাজ করতে অনীহা আসে। এর প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যা শুরু হয়। এছাড়া, হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো এবং ব্রেন ফগও হতে পারে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাবে কি কি সমস্যা হয়

ক্যালসিয়ামের অভাব , এমন অবস্থা যেখানে ক্যালসিয়াম অপর্যাপ্ত বা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না। ক্যালসিয়াম হল খনিজ যা গড় খাদ্যে ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি হাড় এবং দাঁতের প্রধান সহায়ক উপাদান। ক্যালসিয়াম লবণের প্রায় 70 শতাংশ তৈরি করেওজন দ্বারা হাড় এবং যে পদার্থ তার শক্তি এবং অনমনীয়তা দিতে. মানবদেহের প্রায় 99 শতাংশ ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতে থাকে।

অবশিষ্ট 1 শতাংশ রক্ত ​​​​প্রবাহে সঞ্চালিত হয়, যেখানে এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করে। এটি পেশী সংকুচিত করতে এবং হৃৎপিণ্ডের সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ু আবেগের সংক্রমণে এবং জমাট বাঁধতে ভূমিকা পালন করেরক্ত । ক্যালসিয়াম প্রসবের সময় জরায়ুর সংকোচনের উদ্দীপনা এবং দুধ উৎপাদনে জড়িত।

এটি বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের মধ্যে বিভিন্ন এনজাইমের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।প্রত্যেক মানুষের শরীরে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয়, তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় ২০-৩০ বছর পর্যন্ত। বয়স বাড়ছে মানেই হাড়ে ক্ষয়। ৪০ পেরোলেই ক্যালসিয়ামের অভাব।

এ সমস্যা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। তবে কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে হাড়ক্ষয় রোধ করা যায়। আপনি জানেন কী? বাদাম খেলে পোক্ত হবে হাড়। চল্লিশের পর থেকেই শরীরে দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব। আর ক্যালসিয়ামের অভাব মানেই হাড়ে সমস্যা। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। আর অস্টিওপরোসিসর সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয় তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় ২০-৩০ বছর পর্যন্ত। ৩০-৪০ এর মধ্যে হাড়ের যেমন ক্ষয় হয়, তেমনই রিপ্লেসমেন্টও হয়। এই দুটোর ভারসাম্য থাকে। ৪০-এর পর থেকে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা একটু আগেই হয়। অস্টিওক্লাস্ট নামে একটি কোষ হাড়ের ক্ষয় করে।
নারীদের ইসট্রোজেন হরমোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অস্টিওক্লাস্টিং বেড়ে যায়। এতে হাড় ক্ষয় হতে পারে। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় সেনাইল অস্টিওপরোসিস।তাই ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। দুপুরে কিংবা রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ থাকুক বা না থাকুক, কটা বাদাম রাখতেই হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে অন্তত তিন-চারটি আমন্ড খাওয়া ভালো। তবে আমন্ড, আখরোট, কাজু থেকে চীনাবাতাম এবং হাড় মজবুত রাখতে ভালো সব ধরনের বাদামই। কোনো বাদামে কার্বোহাইড্রেট বেশি, কোথাও প্রোটিন। হাড় সুস্থ রাখতে কমবেশি সব বাদামই উপকারী।

ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়

আমাদের মতে ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই প্রাকৃতিক জিনিস থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই আমাদেরকে ক্যালসিয়ামের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। আর সেটি খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে সম্ভব। সুষম খাবার তালিকাতে কোন কোন খাবার রাখলে আমাদের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে সে সম্পর্কে জানতে হবে। পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত।

বাহিরের খাবারগুলো না খেয়ে ঘরে তৈরিকৃত স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খেতে হবে। যদি হঠাৎ করে হাঁটুর গোরাতে ব্যথা শুরু হয় তখন আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না। কিন্তু ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায় অর্থাৎ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা থেকে খাবারগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে পারি। তাহলে চলুন এবার জেনে নিই কোন কোন খাবারগুলোতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা

একথা প্রায় সবারই জানা হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে ক্যালসিয়াম। তাই দুধ খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দেহের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। নিউ ইয়র্ক’য়ে ‘ফাংশনাল মেডিসিন এক্সপার্ট এবং লেখক ডা. মার্ক হেম্যান ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে জানান, দুধ ছাড়াও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ আরও অনেক খাবার আছে যা সুস্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে।

ডিম
ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। যা হাড়ের গঠন মজবুত করে। এবং এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। তাই হাড়ের সুস্থতায় দিনে অন্তত ১ টি ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বাদাম ও বীজ
বীজ উচ্চ ক্যালসিয়াম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। তিল, চিয়া, সূর্যমুখী ও পপি বীজ খাওয়া ১/৪ কাপ তিলের বীজ একাই ৩৫১ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম দান করে যা দৈনিক চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ। কাঠ-বাদাম নাস্তা হিসেবে খুব ভালো, যা উপকারী পলি এবং মনোআনস্যাচুরেটেড চর্বি যোগায়। সব বাদামই কিছুটা ক্যালসিয়াম দান করলেও কাঠ-বাদাম এক্ষেত্রে এগিয়ে। এক কাপ কাঠ-বাদামে ২৪৬ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগ্নেসিয়ামের মতো খনিজ যোগাতে সহায়তা করে।

গাঢ় পত্রল সবজি
পালংশাকের মতো কলই শাকও উপকারী। এক কাপ শাকে ২৬৮ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও িএতে ঘুম বর্ধক হরমোন ট্রিপ্টোফেন বাড়াতে সক্ষম ভিটামিন বি সিক্স রয়েছে। ক্যালসিয়ামের বৃদ্ধিতে কপি, সবুজ শালগম ও সবুজ শাক সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। সপ্তাহের এক এক দিন সালাদ, স্মুদি ও অন্যান্য খাবারে গাঢ় সবুজ শাক যোগ করে খাওয়া ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।

এটা ভিটামিন ও খনিজেরও ভালো উৎস। উদাহরণস্বরূপ, সবুজ শাকগুলো যকৃতের জন্য খুব ভালো এবং পটাসিয়ামের ভালো উৎস। শালগমের শাক হাড় সুস্থ রাখে। এক কাপ শাক দৈনিক ভিটামিন কে’য়ের চাহিদার ১৫৩ শতাংশ পূরণ করে।

টিনজাত মাছ
টিনজাত মাছ বিশেষ করে সার্ডিন ও স্যামন খাওয়ায় পরামর্শ দেন অনেক পুষ্টিবিদ। সার্ডিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। প্রতি পরিবেশনে যা প্রায় ৩৫১ মি.লি. গ্রাম। এটা ফসফরাস ও ভিটামিন ডি’র ভালো উৎস যা হাড়, পেশি এবং দাঁত শক্ত করতে সাহায্য করে।

এক পরিবেশন টিন জাত স্যামনে রয়েছে ৮২৬ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম যা দৈনিক চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও আয়ু বাড়ায়।

সয়া ধরনের খাবার
সয়া ভেষজ প্রোটিন। টফুতে রয়েছে ৬১ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম এবং অনেক ব্র্যান্ডের সয়াতে বাড়তি ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার খনিজও পাওয়া যায়। টফুতে লৌহ এবং ‘এএলএ ওমেগা-থ্রিস থাকে যা হৃদ-স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

দই
সকালের নাস্তায় দই খাওয়া ক্যালসিয়ামের চাহিদা মিটায়। এটা খনিজের ভালো উৎস। কম চর্বির সাধারণ দইয়ের আট আউন্স পরিমাণে প্রায় ৪১৫ মি.গ্রা. খনিজ থাকে। এর প্রোবায়োটিক হৃদ-স্বাস্থ্য ভালো রাখে।রাতে স্মুদি, ওটস বা বাদাম ও বেরির সঙ্গে দই যোগ করে খাওয়া ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।

দুধ
পুষ্টিবিদ মিয়াং বলেন, “দুধের চর্বির মাত্রার অনুযায়ী এক কাপ গরুর দুধে ৩০০ থেকে ৩২৫ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম থাকে, যা দৈনিক চাহিদার শতকরা ২৫ ভাগ। ছাগলের দুধে প্রায় ৩২৫ মি.গ্রা. বা দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

হার ফেটে গেলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত

স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য 16  টি খাবার
স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য এবং আপনার হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য শীর্ষস্থানীয় কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে:

সবুজ শাক সবজি: সবুজ শাক সবজি আপনার হাড়ের জন্য স্বাস্থ্যকর কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই সবজিগুলির মধ্যে রয়েছে সুইস চার্ড, কলার্ড গ্রিনস, শালগম শাক, কেল ইত্যাদি। এগুলিতে উচ্চ ভিটামিন কে উপাদান রয়েছে যা আপনার হাড়ের শক্তি বাড়ায়।

দই: এটি হাড়ের জন্য একটি চমৎকার দুগ্ধজাত খাবার যা কেবলমাত্র ক্যালসিয়ামে বেশি নয়, এতে পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি 12 এর ভালো উপাদান রয়েছে। আপনার ডায়েটে দই অন্তর্ভুক্ত করলে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। অন্যান্য অনুরূপ দুগ্ধজাত পণ্য হ'ল দুধ এবং পনির, যা আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

মাছ: কিছু চর্বিযুক্ত মাছ এবং বেশিরভাগ শেলফিশ আপনার হাড়কে শক্তিশালী রাখতে ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির সমৃদ্ধ উত্স। এই সুপারফুডগুলি শরীরে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি 12, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। ভিটামিন ডি হাড় এবং জয়েন্টগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শরীরে ক্যালসিয়ামকে সঠিকভাবে শোষণ করতে সহায়তা করে।

সাইট্রাস ফল: কমলা, জাম্বুরা, লেবু ইত্যাদি সহ সাইট্রাস ফল আপনার হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য চমৎকার খাবার। সাইট্রাস ফল হল ভিটামিন সি এর সর্বোত্তম উৎস এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। হাড়ের সঠিক বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি সরবরাহ করতে আপনি কমলার রসও পান করতে পারেন।

তোফু: হাড় মজবুত রাখার জন্য তোফুও একটি সুপারফুড। আপনি এই উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবার খেয়ে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিন পেতে পারেন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার কারণ এতে আপনার হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।

বাদাম: বাদাম প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস। আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে আপনি বাদামের দুধ পান করতে পারেন। যারা দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে পারেন না তারা পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পেতে তাদের খাদ্যতালিকায় বাদাম যোগ করতে পারেন।

বীজ: বীজ খুব পুষ্টিকর, এবং তারা ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় চিয়া বীজ যোগ করতে পারেন।
শুকনো বরই: আপনি যদি আপনার হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে চান এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় শুকনো বরই যোগ করতে হবে। শুকনো বরই ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস এবং ফ্র্যাকচার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ, পনির এবং দইয়ের মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য একটি খনিজ। তারা প্রোটিন, ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি প্রদান করে, যা ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাভোকাডো: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, অ্যাভোকাডো শরীরের মধ্যে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং ব্যবহারে সহায়তা করে হাড়ের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।

মাশরুম: কিছু জাতের মাশরুম, যেমন শিতাকে মাশরুম, ভিটামিন ডি ধারণ করে। সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে, কিছু মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।

হলুদ: এই মশলায় কারকিউমিন রয়েছে, যা এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি অস্টিওপরোসিসের মতো হাড়ের অবস্থার সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ কমাতে সহায়তা করতে পারে।

গ্রিন টি: এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, গ্রিন টি প্রদাহ হ্রাস করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।

মটরশুটি এবং লেগুম: ছোলা, মসুর ডাল এবং কালো মটরশুটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজগুলির মিশ্রণ সরবরাহ করে। এগুলিতে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিও রয়েছে।

পুরো শস্য: বাদামী চাল, কুইনো এবং পুরো গমের পণ্যগুলিতে ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।

ডিম: ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন সহ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির ঔষধ

আমরা এই আর্টিকেলের সর্ব প্রথমেই বলেছি যে ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই প্রাকৃতিক জিনিসগুলো দিয়ে রোগ সারানো দরকার। অর্থাৎ আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাবারে যে খাবারগুলো গ্রহণ করে থাকি সেটির মাধ্যমেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারি। আমরা প্রাথমিক অবস্থায় ক্যালসিয়াম ঘাটতি লক্ষণ দেখে যদি বুঝতে পারি যে আমাদের হয়তোবা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে ঠিক তখন কোন ওষুধ সেবন না করেই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা টি অনুসরণের মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারি।

সুতরাং কোন ঔষধ গ্রহণ না করেই আমরা ভালো ফলাফল পেতে পারি। তবে আপনি যদি মনে করেন যে আপনার সমস্যাটি অনেক বেশি হয়ে গেছে অর্থাৎ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি চরম আকারে পৌঁছে গেছে সে ক্ষেত্রে আপনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন রকম ঔষধ গ্রহণ করা যাবে না।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বিন্দু আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল ক্যালসিয়াম ঘাটতি লক্ষণ ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অবশ্যই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। আমি আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।

এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আজকের ক্যালসিয়াম ঘাটতি লক্ষণ এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন দের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আমরা সব সময় আর্টিকেলে এরকম তথ্যবহুল পোস্ট করে থাকি।

তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার জন্য অবশ্যই আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আপনার কাছে যদি আমার আর্টিকেলটি উপযুক্ত এবং যথাযথ মনে হয় তাহলে একটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url