চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক বিন্দু, আপনি কি নিয়মিত চিয়া সিড খাচ্ছেন? চিয়া‌ সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে অথবা চিয়া সিড এর খাওয়ার নিয়ম এবং চিয়া সেডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বর্তমান সময়ে এসে সবাই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ চিন্তিত বিশেষ করে শারীরিক ওজন নিয়ে। ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি একজন মানুষের দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। চলুন তাহলে চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
.

ভূমিকা

চিয়া সিড হলো হাজারো গুনে গুনিত একটি খাবার। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আছে পুষ্টি উপাদান। এটি অনেক রোগের নিরাময় হিসেবে খুবই ভালো কাজ করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত পরিমাণ‌ মতো চিয়া সিড খায় তাহলে সে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। মরণব্যাধি ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের জন্য বিশেষ করে ওজন কমানোর জন্য আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন। চিয়া সিড এর উপকারিতা অনেক যা বলে প্রকাশ করে যাবে না।

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে এ কথাটি আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। সাম্প্রতিক সময়ে ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিডের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আপনিও হয়তোবা মনে মনে ভাবছেন আসলেই কি সিড খেলে ওজন কমে। সকল জল্পনার কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খেলে ওজন কমে না বাড়ে।

ওজন বৃদ্ধি এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা। প্রতিদিন মানুষের ওজন বেড়েই চলছে। ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক কিছু করেও ব্যর্থ হচ্ছি। এমনকি ওজন কমাতে গিয়ে শরীর দুর্বলতায় ভুগছি। কিন্তু যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানো যায় তাহলে কেমন হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপাদান হচ্ছে চিয়া সীড। তাইতো পুষ্টিবিদরা ডায়েট করার জন্য খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

তাহলে আমরা জানতে পারলাম চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। অর্থাৎ পুষ্টিবিদরা ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে সেটা নিয়ম মেনে না খেলে ওজন কমার বিপরীতে ওজন বাড়তে পারে। অর্থাৎ চিয়া সিড যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে আবার তেমনি ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে চিয়া সিড এর ব্যবহার সম্পর্কে।

চিয়া সিড এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ ও অনেক বেশি প্রোটিন। চিয়া সিড এর উপকারিতা  যা প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষুধা কমে দিতে সাহায্য করে। কারণ খাদ্য আঁশ ও প্রোটিন একজন মানুষের পেট দীর্ঘক্ষণ ভরে রাখতে সাহায্য করে।, যার কারণে মানুষ খাবার কম খায়। অর্থাৎ খাবার কম খাওয়ার কারণে তার ওজন কমে যায়।

1. চিয়া সিডের মধ্যে আছে ৯.৭৫ গ্রাম খাদ্য আস, ৪.৬৯ গ্রাম প্রোটিন এবং খাদ্য শক্তির পরিমাণ আছে ১৩৮ ক্যালোরি। যে কারণে চিয়া সিড খেয়ে ক্ষুধার ভাব কমে গেলেও এটি শরীরে খাদ্য শক্তি সরবরাহ করে থাকে। আর এভাবেই একজন মানুষের ওজন কমে যায়।

2. চিয়া সিডের সাথে যদি লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের চর্বি অনেক কমে যায়। আর চর্বি কমে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমে যায়।

3. সকালের নাস্তায় যদি দুধ ও দই এর সাথে চিয়া সিড খাওয়া যায় তাহলে নিশ্চিত ধরে রাখুন আপনার ওজন কমে যাবে। কারণ সকালে এই খাবারগুলো খেলে শরীর থেকে চর্বি একেবারে নির্মূল হয়ে যায়। যার কারণে ওজন কমে যায়।

4. ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন ওটস এর সাথে চিয়া সিড খান দেখুন আপনার শরীরের ওজন এমনিতেই অনেক কমে যাবে।
5. আধা ঘন্টা পরিস্কার পানিতে চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন অনেকাংশে কমানো যায়।

6. চিয়া সিডের পাশাপাশি যদি আপনি খাবার খাওয়া পরিমাণে কমে দেন তাহলে নিশ্চিত ভাবে আপনার ওজন কমে যাবে। বিশেষ করে যেসব খাবারে ক্যালরি বেশি আছে এসব খাওয়ার পরিমানে খুবই কম খেতে হবে। এবং যেসব খাবারে ক্যালরি কম আছে এসব খাবার বেশি করে খেতে হবে। এর পাশাপাশি যদি আমরা চিয়া সিড খায় তাহলে নিশ্চিত ভাবে আমাদের প্রত্যেকের ওজনে কমে যাবে।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন চিয়া সিড খেলে ওজন কমে না বাড়ে। নিশ্চয়ই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। অর্থাৎ চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। তবে সেটা পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী। যদি আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে ওজন কমার চেয়ে বাড়তে পারে।

চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড এ আছে ওমেগা-৩ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে থাকে। নিওমিত প্রতিদিন দুই চা চামচ চিয়া সিড খেলে শরীরের শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও চিয়া সিড এর অনেক উপকার আছে যা নিম্নে তুলে ধরা হল:
  • চিয়া সিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। কারন এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
  • প্রোটিন এর সেরা উৎস হতে পারে চিয়া সিড মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার প্রোটিন আছে চিয়া সিডে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী।
  • গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে চিয়া সিডে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মজবুত করে তুলতে বিশেষ কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে।
  • চিয়া সিডে এ প্রচুর পরিমান এ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও বেশ কার্যকর।
  • চিয়া সিড ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • ভিটামিন এ, বি, ই, ডি ও সালফার আছে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও জিংক রয়েছে এই চিয়া সিডে!
এছাড়া চিয়া সিড গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটি খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি বিপরীত অপকারিতাও থাকে কিছুনা কিছু। তেমনই চিয়া সিডের ও কিছু অপকারিতা রয়েছে।

১. কয়েকজন বিজ্ঞানীর দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে চিয়া সিড প্রোটেস্ট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।

২. চিয়া সিড বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই অল্প পরিমাণে চিয়া খাওয়া উচিত। আর স্বাস্থ্য সমস্যা মনে হলে সাথে সাথে এটি খাওয়া বন্ধ কড়া উচিত।

৩. অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে।

৪. চিয়া সিড দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ কমায়। তাই অতিরিক্ত চিয়া সিড সেবনে রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ান সম্ভাবনা থাকে।

বাচ্চাদের জন্য চিয়া সিড এর উপকারিতা

  • এটি মানুষের দেহের ক্ষতিকর পদার্থের চাপ কমিয়ে থাকে।
  • এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় সাথে উচ্চ রক্তচাপও কমায়।
  • দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে এই বীজ অনেক কার্যকরী।
  • এই বীজ আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে উপকারী।
  • আমাদের দেহ থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়।
  • একটি খেলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • এটি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
  • গ্যাসের সমস্যা নির্মূল করে থাকে।
  • ভালো ঘুম নিশ্চিত করে থাকে।
  • আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে আরও বেশি উন্নত করে।
  • হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে থাকে।
  • আমাদের ত্বক চুল ও নখ সুন্দর রাখে।
  • এটি আমাদের দেহের প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে থাকে।
  • এটি আমাদের ফ্যাটি এসিডের অভাব দূর করে থাকে।
  • শিশুদের মেধা বিকাশ করে থাকে।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ না থাকায় এটা সাধারণত সালাদ, কাস্টার্ড, স্মুদি যেকোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে ৩০ মিনিট পানিতে ভিনিয়ে রাখলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম:

সাধারণত চিয়া সিডের নিজস্ব কোনো স্বাদ থাকে না, তাই এটা সাধারণত সালাদ, কাস্টার্ড, স্মুদি যেকোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও চিয়া সিড খাওয়ার বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। যেহেতু এটি শুকনো বীজ, তাই পানি বা দুধে ভিজিয়ে রেখে তারপর খেতে হয় সাধারণত। চিয়া সিড দ্বারা পুডিং তৈরি করে খাওয়া যায়, দুধ বা দইয়ের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন।

ব্রেকফাস্ট এ বিভিন্ন ফল এর সাথে ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড মিসিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকেই এর ফলে সকাল সকাল শরীরে দারুন শক্তির উৎস মেলে। এছাড়াও ওটস, ফালুদা বা অন্য কোনো ডেজার্টের সাথে খুব ভালো ভাবেই খাওয়া যেতে পারে চিয়া সিড।

চিয়া সিড কত কতক্ষণ আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন?

চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই বীজের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই চিয়া সিড ভেজানো পানি খান। কেউ আবার ওটসের উপর চিয়া সিড ছড়িয়ে খান। তবে চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক উপায় অনেকেরই হয়তো জানা নেই।

চিয়া সিড কখনওই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। দুধ হোক বা পানি, চিয়া সিড ভেজানোর সঠিক পদ্ধতি রয়েছে। হয়তো এই বীজ পানিতে বা দুধে ভেজালে জেলের আকার ধারণ করে। কিন্তু এভাবেই পুডিং বা স্মুদিতে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
চিয়া সিড জলে ভেজালে যে জেল উৎপন্ন হয়, তাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো ভেঙে যায়। এটি শরীরের জন্য ভালো। তাই ভেজানো চিয়া সিড খেলে এর পুষ্টি শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে। তাছাড়া এভাবে চিয়া দ্রুত হজমও হয়ে যায়।দুধ হোক বা পানি, চিয়া সিড ভেজানোর সঠিক পদ্ধতি রয়েছে। সবসময় ১:৩ অনুপাতে চিয়া সিড পানি বা দুধে ভেজান। ১ অংশ চিয়া সিড এবং ৩ অংশ পানি বা দুধ নিন। এর চেয়ে বেশি চিয়া সিড বা পানি নেবেন না।

পানি বা দুধে চিয়া সিড মেশানোর পর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এর মাঝে মিশ্রণটি চামচ দিয়ে একটু নেড়ে দিন। মিশ্রণটি থকথকে হয়ে গেলে এটি খেতে পারেন। দুধে চিয়া সিড মেশালে এতে ফল, বাদাম ও অন্যান্য বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।

শুধু যে জলে বা দুধে ভিজিয়েই চিয়া সিড খেতে হবে, এমন নয়। শুকনো কড়াইতে চিয়া সিড ভেজে নিন। এই রোস্টেড চিয়া সিড দই, ওটমিল বা স্যালাদে ছড়িয়ে খেতে পারেন। চাইলে এই চিয়া সিডও স্মুদিতে মেশাতে পারেন।

রোস্টেড চিয়া সিড খেলে এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। তা না হলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চেষ্টা করুন সকালের নাশতায় চিয়া খাওয়ার। এতে বেশি উপকার পাবেন।

চিয়া সিড কি প্রতিদিন খাওয়া যায়

শরীরে পানির চাহিদা পূরণ থেকে ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে চিয়া বীজের গুরুত্ব অনেক। সহজপাচ্য ফাইবার, প্রোটিন থেকে হার্ট ভালো রাখার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এই বীজে। পাশাপাশি বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে চিয়া সিড।

তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে এই চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এটি পানিতে ভিজিয়ে, পুডিং কিংবা সালাদে ছড়িয়েও খাওয়া যায়। আমেরিকার কৃষিবিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, এক আউন্স অর্থাৎ ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ থেকে পাওয়া যায় ১৩৮ ক্যালোরি। এতে প্রোটিন আছে প্রায় ৫ গ্রাম।

মোট ফ্যাটের পরিমাণও তাই। কার্বোহাইড্রেট ১২ গ্রাম। ফাইবার ১০ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ১৭৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ২ মিলিগ্রাম ও জিঙ্কের পরিমাণ ১.৩ মিলিগ্রাম। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত গুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে কিন্তু উপকারের বদলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শর্করার মাত্রা একেবারে কমিয়ে দেয়
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তবে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

হজমের সমস্যা হতে পারে
বেশি চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফাইবার উপকারী।

আবার বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি নয়।

চিয়া সিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • একটি খেলে গলায় আটকে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি বড় ধরনের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নয়।
  • কিছু কিছু গবেষকের মতে এটি খেলে ক্যান্সার হয়ে থাকে।
  • এটি আমাদের দেহের শর্করার পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমিয়ে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
  • পেটের সমস্যা হতে পারে।
  • এটি খেলে যেমন ওজন কমে তেমনি কখনো কখনো ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

শেষ মন্তব্য আজকে আমার এই আর্টিকেলটি ছিল চিয়া সিড এর উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত। আমি আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি করে উপকৃত হয়েছেন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শেয়ার করবেন। আর এইরকম আরো পোস্ট পেতে হলে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

জেব্রা নেম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url